সুব্রত বিশ্বাস: সপ্তাহান্তে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal)। চূড়ান্ত সতর্কতা সমস্ত সরকারি দপ্তরে। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি চরমে। ঝড়বৃষ্টির মাঝে রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তৈরি হচ্ছে রেল মন্ত্রকও। সতর্কতার পাশাপাশি ইতিমধ্যে ওভারহেড তারে ডাল ভেঙে পড়তে পারে, এমন সব গাছকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝড়ের আগেই তা ছেঁটে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্টেশনগুলির শেড পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, যাতে ঝড়ে শেড উড়ে বিপদ না ঘটতে পারে।
রেললাইন সংলগ্ন নিকাশী নালাগুলিও পরিষ্কার করে উপযুক্ত করে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া ছোট ছোট নদী-নালা কালভার্টগুলিতে ঝড়ের আগে-পরে নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্রিজগুলি যেভাবে পাকাপোক্ত সেইভাবে কালভার্টের তলা মজবুত সাধারণত থাকে না। পাশাপাশি জল সীমারেখা অতিক্রম করলে ট্রেন (Trains) বন্ধ করা হতে পারে। এছাড়াও নানা বিপত্তির আশঙ্কায় সাধারণত যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়, তা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাছের ডাল ওভারহেড তারে পড়লে যাতে টাওয়ার ভ্যান তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে। সেজন্য ওই ভ্যানগুলিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে, এমন সব নির্ধারিত এলাকায় নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। কারশেড এলাকায় রাখা ইঞ্জিন ও কোচগুলি যাতে ঝড়ের গতিতে ’রোল’ না করে সেজন্য লাইনের সঙ্গে চেন দিয়ে বাঁধা হবে কোচ ও ইঞ্জিন। চাকার তলায় দেওয়া হবে গতি রোধক ‘গুটকা’।
রবিবার সন্ধ্যের পর থেকে টানা কাজের জন্য কর্মীদের অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তবে কোনও ট্রেন এখনও বাতিলের তালিকায় রাখা হয়নি। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের অপারেশন বিভাগের একাধিক কর্তার কথায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’র গতিপথ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সুরক্ষার স্বার্থে কয়েকটি ট্রেন বাতিলের (Train cancel) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে –
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.