সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনের পারদ যত চড়ছে, আন্দোলনের আড়ালে অপ্রীতিকর ঘটনাও তত বাড়ছে। বুধবার রাতে বারাসত, উত্তরপাড়ায় তেমনই ঘটনা ঘটল। বারাসতের ঘটনা অবশ্য বেশ স্পর্শকাতর। ‘রাত দখল’ আন্দোলনের মাঝে মদ্যপদের তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার তাঁদের মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন ‘রাত দখলে’ অংশগ্রহণকারীরা। প্রশ্ন তোলেন, প্রতিবাদীদেরই কেন গ্রেপ্তার করা হল? যদিও পুলিশের দাবি, বহিরাগতরা মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব করছিল, তাই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরপাড়ায় প্রতিবাদ মিছিলে আচমকাই এক চারচাকা গাড়ি ঢুকে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবে বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে প্রতিবাদ চলছিল। ডাকবাংলো থেকে মিছিলটি ধীরে ধীরে কলোনি মোড়ের দিকে এগোয়। জাতীয় সড়কের উপর জমায়েত হন তাঁরা। এর পরই অশান্তি শুরু হয়। পুলিশের দাবি, সেসময় জাতীয় সড়ক দিয়ে ভারী ট্রাক যাতায়াত করছিল। পুলিশ দাঁড়িয়ে সেসব ট্রাক পরীক্ষা করছিল। তারই মাঝে মিছিলে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় মিছিলে ঢুকে মহিলাদের উত্যক্ত করতে থাকেন। পুলিশ সেখান থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু প্রতিবাদীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে থেকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১৮ জনকে। যদিও বারাসত আদালতে পরে তাঁরা জামিন পেয়েছেন।
এর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধৃতদের মুক্তির দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু হয়। যদিও বারাসতের পুলিশ সুপার (SP) স্পর্শ নীলাঙ্গি জানান, ”ওই সময় মিছিলে গন্ডগোল হচ্ছিল। এক মহিলা আমাদের জানান যে ভিড়ের মধ্যে কেউ তাঁকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছে, তিনি মদ্যপ। তার ভিত্তিতে আমরা ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছি। মহিলাও পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।” এনিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বারাসত। পরে জামিনে তাঁরা মুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে ‘রাত দখলে’ উত্তরপাড়ায় মিছিল চলছিল বুধবার রাতে। প্রতিবাদীদের ভিড়ে ঢুকে পড়ে একটি চার চাকা গাড়ি। তবে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন সকলে। মদ্যপ অবস্থায় চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। আটক করা হয়েছে ওই গাড়ি চালককে। ‘রাত দখলে’র মিছিলে শামিল অমিত রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, ”যে গতিতে গাড়িটি এসে পড়েছিল, তাতে কয়েকজন আহত হতে পারত। আমরা চালককে ধরে পুলিশে দিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.