নিজস্ব চিত্র
অর্ণব আইচ: প্রথম সিবিআই, পরে এনএসজি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের গড়ে রুদ্ধশ্বাস তল্লাশি অভিযান। দিনভর টানাপোড়েনের পর সন্দেশখালিতে তল্লাশি প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কী কী উদ্ধার হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে জানাল সিবিআই। সেই তালিকা অনুযায়ী বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনই আবার রয়েছে পুলিশের রিভলবার। রয়েছে কার্তুজ। দেশি বোমাও উদ্ধার হয়েছে বলেই দাবি সিবিআইয়ের। এদিকে, এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।
গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের খোঁজে তাঁর ডেরায় হানা দেয় ইডি। সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হন আধিকারিকরা। তাঁদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর-সহ অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগও ওঠে শাহজাহান অনুগামীদের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার সন্দেশখালির দুটি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। ১০ সদস্যের সিবিআই দল সন্দেশখালির আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে হানা দেয়। হাফিজুল খাঁ আবার শেখ শাহজাহান ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই খবর। তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরে বিকেলের দিকে ওই এলাকায় যায় NSG কমান্ডোরাও।
সন্ধ্যায় তল্লাশি প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ৩টি বিদেশি বন্দুক, ১টি দেশি বন্দুক, ১টি কোল্ট অফিসিয়াল পুলিশ রিভলবার, ১টি করে দেশি ও বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। বলে রাখা ভালো, কোল্ট অফিসিয়াল রিভলবার একমাত্র পুলিশই ব্যবহার করে। তা ব্যক্তিগতভাবে কীভাবে তা আবু তালেবের বাড়িতে এল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। এছাড়া ১২০ রাউন্ড ৯ এমএম বুলেট, পয়েন্ট ৪৫ ক্যালিবারের ৫০টি কার্তুজ, ৯ এমএম ক্যালিবারের কার্তুজ ১২০টি, পয়েন্ট ৩৮০ কার্তুজ ৫০টি এবং পয়েন্ট ৩২ কার্তুজ ৮টি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এছাড়া শেখ শাহজাহানের বেশ কয়েকটি পরিচয়পত্রও আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সবকটি দেশি বোমা বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই বোমাগুলি ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করেছে এনএসজি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.