জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সীমান্তে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় তাই বাড়তি নজর দিয়েছে বিএসএফ। চলতি সপ্তাহেই কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগর সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবি নজিরবিহীন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য কাঁটাতারের কাজ হয়েছে। পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় সুখদেবপুরেও। বিজিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারবার কাঁটাতার বসানো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ওপার বাংলার সীমান্তরক্ষী জওয়ানরা। এই আবহে বৃহস্পতিবার বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা সমন্বয় ও শান্তি বজায় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার দুদেশের সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইজি, বিএসএফ শ্রী মণীন্দর পি.এস পাওয়ার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হুমায়ুন কবীর, পিএসসি-র মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সীমান্তে সমন্বয় ও শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি দুই সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর আলোচনা হয়। কমান্ডাররা যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টা, সীমান্ত এলাকায় চলমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থা এবং কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা।
এই বৈঠক অবশ্য পূর্ব পরিকল্পিত। মালদহ সীমান্তে পরপর দুবার কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিজিবি-র বাধার পরিপ্রেক্ষিতে মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি বুধবার দেখা করেন বিএসএফের আইজি-র সঙ্গে। সেখানে দুজনে কথাবার্তা বলে এদিন পতাকা বৈঠক বা ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আয়োজন করেন। সেই বৈঠকই হল বনগাঁর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে।দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইজি শ্রী মণীন্দর পি.এস পাওয়ার সীমান্তে আরও নিরাপদ পরিবেশ, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং এই অঞ্চলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দেন। উভয়পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.