বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে দেশজুড়ে বাড়তি সতর্কতা। বিশেষত সীমান্তে কড়া প্রহরা। এবার এই হামলার জেরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকার বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনীতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বাড়তি নজর ‘চিকেন নেক’-এ। জানা যাচ্ছে, আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা ও শিলিগুড়ি বাগডোগরায় মহড়া শুরু করেছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যে হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়ে গিয়েছে একটি ‘রাফালে’ যুদ্ধবিমান। দেশের উত্তরের কোনও এক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সেটিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, যাতে প্রয়োজনমতো উড়তে পারে।
জানা গিয়েছে, বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ডের অধীন গুয়াহাটি, হাসিমারা ও বাগডোগরা বায়ুসেনা এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যেক কমান্ডকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ‘চিকেন নেক’ হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও পাক সেনা, জঙ্গিদের সফট টার্গেট। ওই ‘চিকেন নেক’ ঘিরে রয়েছে চিন, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় বিএসএফের পাশাপাশি সেনাকে প্রতিটি সীমান্তে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ডকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। একইভাবে ভারতীয় সেনার উত্তরের সুকনা এবং সিকিমে সেনাবাহিনীর ত্রি-শক্তি কর্পসকে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিন্দুমাত্র ফাঁক যাতে না থাকে, তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা সেনাবাহিনীর।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের অতর্কিত আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ পর্যটক। সীমান্তের ওপার থেকে এধরনের জঙ্গি হামলার উসকানি বলে মনে করছে দেশের গোয়েন্দা মহল। তাই সবক’টি সীমান্তে বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে। সেনা, পুলিশ নির্বিশেষে অত্যন্ত কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার সীমান্তের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ‘চিকেন নেক’ বরাবর সুরক্ষা বলয় আরও আঁটসাঁট করা হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.