প্রতীকী ছবি
অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগেই এক পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার হল এক পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ। মানসিক চাপ থেকেই কি সে আত্মহত্যা করল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুরে কারকবেড়িয়া গ্রামে। মৃত ছাত্রীর নাম বর্ষা দে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসেছিল ওই ছাত্রী। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে রাখা হয়। কিছু সময় পরে তার মা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত ওই ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। দেখা যায়, ওই ছাত্রী সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কোতুলপুর গোগড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরীক্ষার জন্য তার মধ্যে তীব্র মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল। ঠিক মতো উত্তর লিখতে পারবে কিনা, সেই নিয়ে ভয় ছিল তার। তেমনই এদিন বলেন ওই পরীক্ষার্থীর মা। বর্ষার মামা সমীর মণ্ড বলেন, “কয়েক দিন থেকেই বর্ষা বলছিল শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। এই রবিবার ওকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাই। পরীক্ষার জন্য মানসিক চাপটা ও নিতে পারছিল না। পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে, কী পারবে না, এইসব চিন্তা করেই সম্ভবত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।” পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এলাকায় যথেষ্ট মেধাবী, হাসিখুশি বলেই পরিচিত ছিল ওই ছাত্রী। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.