নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নদীকে দূষণমুক্ত করার নামে হিন্দু বৈষ্ণবদের সমাধিস্থল ভেঙে সেখানে আবর্জনাস্তূপ তৈরির পরিকল্পনা। তারাপীঠ মহাশ্মশানের কাছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কয়েকদিন ধরেই এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছিল জেলা বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। বৃহস্পতিবার এনিয়েই সেখানে মিছিল করেন জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। সেসময় সরকারের তরফে এলাকায় কাজ করতে গিয়েছিল একটি দল। তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ধ্রুব সাহা ও জেলা বিজেপির বেশ কয়েকজনকে নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এনিয়ে জেলার রাজনৈতিক অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
তারাপীঠের দ্বারকা নদী দূষণে ভরে গিয়েছে। এনিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা হয়। তাতে আদালত নির্দেশ দেয়, নদীকে দূষণমুক্ত করতেই হবে। দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যের পূর্ত দপ্তরকে। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের পরামর্শক্রমে পূর্ত দপ্তর নদীর দুটি ঘাট বেছে নিয়ে সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্র বসায়। এই যন্ত্রের সাহায্যে তারাপীঠের সমস্ত জল, যা নদীতে মিশে দূষিত করে তুলছে, তা পরিশোধনের কাজ হবে। ইতিমধ্যে জল পরিশোধনের জন্য পাইপও বসানো হয়েছে। পিডব্লুডি-র জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়র দেশবন্ধু হাজরা জানান, ”যে দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে, তাতে বামদেবঘাটে জলাধার বানিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্র বসিয়েছি আমরা। প্রাথমিকভাবে সেই কাজে সফলও হয়েছি। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে জল পরিশোধনের কাজ চলবে।”
তবে নদীকে দূষণমুক্ত করার এই পদ্ধতি নিয়ে গোড়া থেকে আপত্তি তোলে জেলা বিজেপি। বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ, আগেও শ্মশান সংস্কারের নামে গাছ কাটা হয়েছিল, সেখানে অতিথিশালা নির্মাণ করা হয়। এবারও নদীদূষণ মুক্ত করার নামে মহাশ্মশানে জোর করে হিন্দু বৈষ্ণবদের সমাধিস্থল ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এনিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরেই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব সেখানে প্রতিবাদ মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার সেখানে সরকারি কাজ চলাকালীন ধ্রুব সাহার নেতৃত্বে মিছিল চলে। অভিযোগ, সেসময় সরকারি কাজ করা হচ্ছিল, সেই কাজে বাধা দেওয়া হয়। তারাপীঠ থানার সামনে দিয়ে মিছিল চলার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা ও বেশ কয়েকজন নেতাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.