নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কারও গোপনাঙ্গে লুকনো মোবাইল, তো কারও জুতোর তলায়। ‘এএনএম’ ও ‘জিএনএম’ নার্সিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে গিয়ে মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে ধরা পড়লেন একের পর এক পরীক্ষার্থী। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার সিউড়িতে বেনীমাধব ইনস্টিটিউশনে। এই একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে উদ্ধার হয় অন্তত ১২টি মোবাইল।
জানা যাচ্ছে, সিউড়ির ওই স্কুলে মালদা থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে প্রথম পর্যায়ে যে পরীক্ষা হয় তাতে সেভাবে কিছু নজরে পড়েনি কর্তৃপক্ষের। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকজনকে দেখে সন্দেহ হয় শিক্ষকের। তখনই দায়িত্বে থাকা এক মহিলা পুলিশকে ডেকে ফের তল্লাশি চালানো হয় পরীক্ষার্থীদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজয় কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘দ্বিতীয় দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানোর দেখা যায়, কেউ হিল চটির নীচের অংশ কেটে তার ভেতরে মোবাইল ঢুকিয়ে এনেছেন। কেউ শরীরের নানা জায়গায় এমনকী গোপনাঙ্গেও মোবাইল লুকিয়ে এনেছেন। এবং সবকটি ফোন পুরানো দিনের কি-প্যাড বিশিষ্ট ফোন।’
শুধু তাই নয় প্রধান শিক্ষকের দাবি, কেবলমাত্র মালদা জেলা থেকে যে সকল পরীক্ষার্থীরা এসেছিলেন তাদের থেকেই এমন কিপ্যাড ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকী তিনি এটাও দাবি করেছেন, তাদের স্কুল থেকে ১২টি কিপ্যাড ফোন উদ্ধার হয়েছে, অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে খোঁজখবর নিলে এই ধরনের ঘটনা আরও চোখে আসতে পারে। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কারচুপি করতে গিয়ে যে পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি কাউন্সিলকে জানিয়েছে। এরপর কাউন্সিল যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার তা করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.