প্রতীকী ছবি।
জ্যোতি চক্রবর্তী ও অর্ণব দাস: ছেলেধরা নিয়ে গুজব ঠেকাতে, সচেতন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার চলছে। তার পরেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। গণপ্রহারের ঘটনা অব্যাহত। সোমবার সকালে ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটল গোপালনগর থানার মামুদপুর চারাতলা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। যদিও পুলিশের দাবি, ওই যুবককে মারধর করা হয়নি। তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিশ খবর পেয়ে উদ্ধার করেছে।
একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যুবককে বসিয়ে রেখে ক্রমাগত চড় থাপ্পড় মারা হচ্ছে। বাসিন্দারা জানিয়েছে, এদিন সকালে সন্দেহজনকভাবে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল ওই যুবক। তাঁর নাম ও ঠিকানা জানতে চাওয়া হলেও ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেনি। এর পরেই তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। ওই যুবক গ্রামবাসীদের জানিয়েছে, শনিবার রাত বারোটা নাগাদ গাড়িতে করে কিছু লোকজন এসে তাঁকে এখানে ফেলে দিয়ে চলে যায়। গোপালনগর এবং গাইঘাটা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে |
ঠিক এর উলটো চিত্র দেখিয়ে সচেতনতার প্রমাণ দিয়েছে দেগঙ্গার বাসিন্দারা। রবিবার সেখানের বেড়াচাঁপা মুদিপাড়ায় ছেলেধরার সন্দেহে এক মহিলাকে আটকে রেখে থানায় খবর দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। পরেরদিন সোমবারও একইভাবে সচেতনতার প্রমাণ দিলেন তারা। চোর সন্দেহ হওয়ার পরেও এদিন দুই মহিলাকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। এদিন বেলার দিকে দেগঙ্গার ওধনপুর গ্রামে কোলে শিশুসন্তান নিয়ে দুই মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। তখন তাদের আটকে রেখে দেগঙ্গা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই বানজারা মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.