বাবুল হক, মালদহ: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন প্রথম স্ত্রী। অভিযোগ, সেজন্য তাঁকে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গুরুতর জখম ওই যুবতী হাসপাতালে ভর্তি বলে খবর। ন্যক্কারজনক এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের ইংলিশবাজারে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আক্রান্তের পরিবার সূত্রে খবর, ইংলিশবাজার থানা এলাকার সাতঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আতিবুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কাসমিরা খাতুনের। নয় বছরের বিবাহিত জীবনে ওই দম্পতির সন্তানও রয়েছে বলে খবর। এদিকে প্রায়শই ওই বধূর উপর মানসিক নির্যাতন চলত বলে অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আতিবুর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাদ হয়েছিল। দিন সাতেক আগে আতিবুর রহমান স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেয় বলে অভিযোগ। সন্তানদের নিয়ে বাধ্য হয়ে বাপেরবাড়িতে চলে এসেছিলেন স্ত্রী।
কয়েক দিন আগে তিনি জানতে পারেন, স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এদিন মা আনজুরা বিবিকে নিয়ে কাসমিরা শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। কেন দ্বিতীয় বিয়ে করা হল? সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করা হয়। অভিযোগ, তারপরই কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ে ও মাকে বাড়ির সামনের ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ। আতিবুর রহমান সেসময় বাড়িতে ছিল না। তাকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে আনা হয়। স্বামী ফিরলেই শুরু হয় মার। স্বামী, শ্বশুর, দেওর ও অন্যান্যরা মিলে ওই বধূকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধরে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন ওই যুবতী। পরে মেয়ে ও মাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
আক্রান্ত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি ভর্তি রয়েছেন বলে খবর। ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ইংলিশবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.