প্রতীকী ছবি।
সুমন করাতি, হুগলি: হাসপাতালের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ রোগীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চন্দননগর হাসপাতালে। কিন্তু কেন এই ঘটনা? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রকাশচন্দ্র বাইন। আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তিনি। গত সাতবছর ধরে চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনিতে থাকেন। তিনদিন আগে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, রবিরার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই হয়ে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন প্রকাশ। টেবিল থেকে একটি কাঁচি নিয়ে অন্য রোগী ও নার্সদের দিকে তেড়ে যান। আচমকা ঢুকে পড়েন ফিমেল মেডিসিন বিভাগে। এর পর নার্সিং স্টাফদের ঘরের ভিতর দিয়ে গিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সটান হাজির হন ছাদে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ঝাঁপ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি বিভাগে। রাত তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় প্রকাশবাবুর। খবর পেয়ে সোমবার ভোরে হাসপাতালে যান পরিবারের সদস্যরা।
সকালেই হাসপাতালে যান হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর। সুপারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। মৃতের স্ত্রী মিঠু বাইন বলেন, “হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয় তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য। এমন কিছু হতে পারে ভাবিনি।” মৃতের শ্যালিকা জানান, প্রকাশবাবু নিয়মিত মদ্যপান করতেন। হাসপাতাল সুপার সন্তু ঘোষ বলেন, “তিনদিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। ক্রনিক অ্যালকহলিক রোগী ছিলেন। মদ না খেলে এইরকম আক্রমনাত্মক হয়ে উঠতেন। তার জেরেই এই ঘটনা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.