শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: দেনার দায়ে পাঁচ বছরের মেয়েকে খুন বাবার। তার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বাবা। তবে বরাতজোড়ে প্রাণে বাঁচেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল রায়গঞ্জে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা ওই খুদে। মঙ্গলবার অচৈতন্য অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর দেওয়া হয় থানায়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি নাবালিকার বাড়ি এবং তার আশপাশ এলাকায় খোঁজখবর শুরু করেন পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় মৃত খুদের বাবাকে। মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিজের মেয়েকে খুন করার ঘটনা বাবা স্বীকার করেছেন। ধৃতও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই মুহুর্তে ঘরে বড় ছেলে দেখে ফেলায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। খুনের আগে মেয়ে বাবার অফিস ঘরে ঢুকেছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও দড়ি সংগ্রহ করা হয়েছে। বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।”
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুমান, কয়েক বছর ধরে ব্যবসায় লোকসানের কারণে বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দেনা হয়ে গিয়েছে। ফলে চরম মানসিক অস্থিরতায় অবসাদে ভুগছিলেন ধৃত। হতাশা থেকে মুক্তির খোঁজে নানা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.