সুবীর দাস, কল্যাণী: আর পাঁচটা চিকিৎসকদের মতোই কাজ করছিলেন তাঁরা। তবে অচেনা হওয়ায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কথায় মেলে অসঙ্গতি। তারপরই ফাঁস হয় একজন ভুয়ো চিকিৎসক ও অপর জন ভুয়ো লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক। ধৃতদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানা। এই প্রথম নয় আগেও এই হাসপাতালে ভুয়ো চিকিৎসকের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করা মহিলার নাম বন্দনা সেনগুপ্ত। তিনি কলকাতার (Kolkata) বাসিন্দা। অপর জনের নাম জয়তী দাস। তিনি হুগলির বাসিন্দা। জয়ন্তী নিজেকে এলডিসি অর্থাৎ লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক বলে দাবি করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই দুই মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তাঁরা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ করছিলেন। দেখে সন্দেহ হতেই তৎক্ষণাৎ তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তাতেই দুরকম উত্তর আসে। ফলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
তাঁদের সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হয়। জানতে চাওয়া হয় রেজিস্ট্রেশন নম্বরও। তা বলতে না পারায় হাসপাতাল (Kalani JNM Hospital) কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে আটকে রেখে খবর দেয় কল্যাণী থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কল্যাণী থানার পুলিশ (Kalyani police Staion)। আটক করা হয় অভিযুক্তদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাঁরা এই হাসপাতালের কেউ নয়। তাঁদের নামে কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। খাতায় তাঁদের নামও নেই।
এরপর পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আজ শুক্রবার তাঁদেরকে কল্যাণী আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাসপাতালে। আতঙ্কিত রোগী ও পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.