সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির রয়েছে। যেখানে মায়ানমারের লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কতজন ভোটাধিকার পেয়েছেন? এবার সেই তথ্য জানতে চাইল হাই কোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে এনিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, ২০১৬ সাল থেকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা অর্থের বিনিময়ে অসংখ্য রোহিঙ্গাকে ভোটার কার্ড দিয়ে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওইসব রোহিঙ্গাদের জাল ঠিকানা, ভুয়ো পিতা-মাতা সাজিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ জন রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। শেষে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর এক রিপোর্টে ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু তার পরও রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রোহিঙ্গাদের ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল।
এনিয়ে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মহম্মদ সিদ্দিক উল্লা মিয়া সংবাদমাধ্যমে জানান, “ওই তদন্তে প্রমাণিত রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে পুরো কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তা তদন্ত করে আগামী ৬ জুন আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক-সহ তিন বিবাদীকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.