সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুলে গিয়েছে ‘প্যান্ডোরার বাক্স’। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ সুলৎজ ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপের পরই তীব্র ভাষায় প্রতিবাদে শামিল হতে গিয়ে এমনই খোঁচা দিতে দেখা গেল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর মতে, পুতিনকে ‘কোণঠাসা’ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরম্ভ হতেই, তা এবার স্তিমিত হতে চলেছে।
জেলেনস্কিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”এটাই তো দীর্ঘদিন ধরে চেয়ে আসছিলেন পুতিন। ওঁর এবং রাশিয়ার ‘কোণঠাসা’ দশা ঘোচানোর জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” প্রসঙ্গত, দুবছর পরে এই প্রথম পুতিন ও জার্মানির প্রশাসকদের মধ্যে কোনও কথোপকথন হল। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এবার জার্মানির চ্যান্সেলর ও পুতিনের কথোপকথন নিয়ে তৈরি হল নয়া জল্পনা।
পুতিনের সঙ্গে কথা বলার সময় শুলৎজ জোর দেন ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা সরানোর ব্যাপারে। যদিও মনে করা হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে কূটনৈতিক উদ্দেশ্য। আসলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে নির্বাচন। শুলৎজের দল সোশাল ডেমোক্র্যাটদের উপরে চাপ রয়েছে রুশ-বন্ধে পপুলিস্ট পার্টিসের তরফে। এক পশ্চিমী কূটনৈতিক নেতার মতে, ট্রাম্পের নির্বাচনের পর এই কথোপকথন একটা খারাপ সংকেত। কার্যতই যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়ে শুলৎস বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তাঁর তরফে তিনি চেষ্টা করেছেন। কেননা পুতিন যে যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী নন, সেটা পরিষ্কার। কাজেই এই ফোনালাপ স্রেফ কৌশলগত ভাবেই একটি পদক্ষেপ মাত্র। আবার ওয়াকিবহাল মহল এও মনে করছে, দিনের পর দিন এই যুদ্ধের কারণে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলাতে হয়েছে জার্মানিকে। তারা মস্কো থেকে গ্যাস কিনতে পারছেন না। ৬০ শতাংশ জার্মান বাড়িতে আগুন জ্বলে রুশ গ্যাস থেকে। এর বিকল্প খোঁজা চেষ্টাও শুরু হয়েছে যুদ্ধ লাগার পর থেকেই। তবুও শেষপর্যন্ত রাশিয়ার থেকে সুবিধা পেতে যে জার্মানি মরিয়া তাতেও সন্দেহ নেই। সব মিলিয়ে শুলৎজ-পুতিন ফোনালাপ ঘিরে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে অবিরত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.