সংবাদ প্রতিদদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের জন্য বিশেষ সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে আমেরিকা। পাক বায়ুসেনার মার্কিন এফ-১৬ জেটগুলির আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। এতে নাকি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই আরও জোরাল হবে! কিন্তু এর ফলে চরম ক্ষুব্ধ ভারত। শত্রুর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ায় আমেরিকাকে একহাত নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
মোদি সরকারের ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রবিবার ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (Jaishankar)। তাঁর কথায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে আমেরিকার কোনও উদ্দেশ্যপূরণ হচ্ছে না। অত্যন্ত কড়া ভাষায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমেরিকার কোনও লাভ হচ্ছে না। আমার মনে হয়, বিষয়টি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেবে দেখার সময় হয়েছে। আপনারা বলছেন, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ব্যবহার করবে পাকিস্তান। আপনারা কাকে নির্বোধ কাকে ভাবছেন! সবাই জানে এই বিমান কার বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। কোনও মার্কিন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা হলে আমি বলব, ভেবে দেখুন আপনারা কী করছেন।”
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, জঙ্গিদের সঙ্গে লড়তে মোটেও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করবে না পাকিস্তান। আসলে তা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য, বালাকোট পরবর্তী লড়াইয়ে একটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যই কী তা আমেরিকাও ভাল করেই জানে। কিন্তু আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ইসলামাবাদকে প্রয়োজন ওয়াশিংটনের। তাছাড়া, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পালটা এটা চাপ তৈরির একটা চেষ্টা।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে বিশাল প্যাকেজ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদেশের প্রধান যুদ্ধবিমান এফ-১৬ (F-16)কে ঢেলে সাজানোর জন্য ৪৫ কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ‘বন্ধু’ আমেরিকার এই পদক্ষপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বার্তা দিয়েছে ভারত। প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালে আমেরিকার থেকে এই যুদ্ধবিমান কিনেছিল পাকিস্তান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.