Advertisement
Advertisement

কর্মক্ষেত্রে সমস্যার জন্য দায়ী কি অভিভাবকরাই?

ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় সেরকমই দাবি তুলেছে!

Your parents may be responsible for job problems: study
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 11, 2016 6:37 pm
  • Updated:July 11, 2016 6:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব অফিসেই এরকম কিছু কিছু মানুষ থাকে দেখবেন, যাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা যায় না। তাঁরা নিজেরাই সেই রাস্তাটা বন্ধ করে রাখেন।
এবং, স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের নিয়ে আমাদের এবং আমাদের নিয়ে তাঁদের অভিযোগের অন্ত থাকে না। উভয় তরফেই ব্যাপারটা চলে। যার থেকে আখেরে কাজের ক্ষতি হয়।
তবে, এবার থেকে এমন সহকর্মী/সহকর্মিণীকে দোষ না দেওয়াই উচিত হবে! বরং, দোষ দিতে পারেন তাঁদের মা-বাবাকে! আরও একটু স্পষ্ট করে বললে দোষ দিন তাঁদের বড় হয়ে ওঠাকে!
ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় সেরকমই দাবি তুলেছে!
সমীক্ষার বক্তব্য অত্যন্ত প্রাঞ্জল- একজন মানুষ অন্যের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করবেন, সেটার পুরোটাই নির্ভর করে তাঁর বড় হয়ে ওঠার উপরে! উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝাবার চেষ্টাও করেছে ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা।
সমীক্ষার বক্তব্য অনুযায়ী, যে সব মানুষ ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে অতিরিক্ত আদর এবং মনোযোগ পেয়ে এসেছেন, তাঁদের সেটাই অভ্যাস হয়ে যায়। সব জায়গাতে তাঁরা সেরকম ব্যবহারই অন্যের কাছে আশা করে থাকেন। কর্মক্ষেত্রেও আশাটা একই রকম থাকে।
এখন সমস্যা হল, বাইরের জগতের তো কারও ব্যক্তিগত অভ্যেসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার দায় নেই। ফলে, সেই আশার জায়গাটা ক্ষুণ্ণ হয় এবং পরিণামে কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী/সহকর্মিণীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি আর দূরত্ব বাড়তেই থাকে! অথবা তাঁরা বসের বকাবকি মেনে নিতে পারেন না!
সমীক্ষা আরও বলছে, যাঁরা ছোটবেলা থেকেই অন্যের উপর একটু বেশি নির্ভরশীল বা যাঁদের নিজে হাতে কাজ করার অভ্যেস থাকে না, তাঁরাও কর্মক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করেন। নিজের এবং অন্যের- দুই তরফের জন্যই।
যেমন, এই ধরনের মানুষরা সাধারণত ফাঁকিবাজ হয়ে থাকেন! খুব একটা কাজ করেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এঁদের মানসিকতা থাকে অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার! সেই দাবি পূর্ণ না হলে তখন কর্মক্ষেত্রে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। একে অপরকে দোষারোপ করা বেড়েই চলে!
এরই উল্টো পিঠে সমীক্ষার বক্তব্য, যাঁরা ছোটবেলা থেকে স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষা পেয়েছেন, অতিরিক্ত প্রশ্রয় পাননি, তাঁরা সাধারণত সুকর্মী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। ১০০০ জন মানুষের উপর এই সমীক্ষা চালিয়ে, তাঁদের বড় হওয়ার বৃত্তান্ত জেনে এবং কর্মক্ষেত্রে আচরণের উপর নির্ভর করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়েছেন আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল!
নিজের সহকর্মী/সহকর্মিণীদের তো দিনের অনেকটা সময় ধরেই দেখছেন! কী মনে হচ্ছে, ঠিক কথা বলছে এই সমীক্ষা?

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement