Advertisement
Advertisement

Breaking News

নরেন্দ্র মোদিকেই প্রবল প্রতিপক্ষ বলে মনে করেন চিনা প্রেসিডেন্ট!

এমনই দাবি মার্কিন বিশেষজ্ঞের।

Xi Jinping sees PM Modi as a challenge: US expert
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 8, 2017 12:56 pm
  • Updated:August 8, 2017 12:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  ডোকলাম নিয়ে বিবাদের জেরে এখন ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে। কূটনৈতিক পথে  ডোকলামে সেনা মোতায়েন নিয়ে বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন ভারত। কিন্তু সাড়া মিলছে না চিনের তরফে। বরং ডোকলাম থেকে একতরফাভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে নয়াদিল্লির উপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছে বেজিং। যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তবে মুখে যতই হুঙ্কার দিক না কেন, ভারতকে কিন্তু প্রবল প্রতিপক্ষ বলেই মনে করে চিন। এমনই দাবি করলেন আমেরিকার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধিকর্তা বন্নি এ গ্রেসার।

[‘আমেরিকাকে চরম শিক্ষা দেব’, হুমকি যুদ্ধবাজ কিমের]

Advertisement

আমেরিকার ওয়াশিংটনের বাসিন্দা এই চিন বিশেষজ্ঞ বলেন, চিনা প্রেসিডেন্ট জিংপিং মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন একজন নেতা, যিনি দেশের স্বার্থে পদক্ষেপ করতে কখনও দ্বিধা বোধ করেন না এবং যেসব দেশ চিনের ওপর বিধি-নিষেধ চাপাতে চায়, সেসব দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। বিশেষ করে আমেরিকা, জাপানের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠায় এখন চিনের চিন্তার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর দাবি, ক্ষমতা আসার পরই, দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিংপিং। তাঁর ধারণা হয়েছিল, আগামী দিনে হয়ত মোদি এমন কোনও নীতি গ্রহণ করবেন না, যাতে চিনকে সমস্যায় পড়তে হয়। বাস্তবে তা হয়নি।  বরং দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ভারতের সক্রিয়তা বেড়েছে।

[গিজা পিরামিডের মধ্যে গোপন কক্ষ, লুকিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি?]

গত জুন মাস থেকেই ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তের সংযোগস্থল সেনা মোতায়েন নিয়ে ভারত ও চিনের সংঘাত চরমে উঠেছে। গত প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে পাহাড়ের রাস্তায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দু’দেশের সেনা। প্রথমে নিজেদের অবস্থানেই অনড় ছিল ভারত ও চিন। সম্প্রতি কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা শুরু করেছে ভারত। বস্তুত, বেজিংয়ে গিয়ে  চিনের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কিন্তু, সেভাবে কোনও লাভ হয়নি। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধিকর্তা বন্নি এ গ্রেসার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতকেই সবথেকে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ বলে মনে করে চিন। তাই আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের দিল্লি ঘনিষ্ঠতা চিন্তা বাড়িয়েছে বেজিংয়ের। দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব খর্ব হতে পারে আশঙ্কা করছে চিন। এই প্রসঙ্গেই বন্নি এ গ্রেসার মনে করিয়ে দেন, সারা বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ যারা চিনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে।

[নাসায় চাকরির আবেদনপত্র পাঠাল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement