সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিব্বতকে এবার ‘চিনা প্রেমের’ শিক্ষা দেবে বেজিং। কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আসলে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনায় বেজিংয়ের (Bejing) পথের কাঁটা তিব্বত। এবার সেখানেও কবজা জমাতে নয়া কৌশল নিচ্ছে চিন।
তিব্বত বরবারই চিনের গলার কাঁটা। আর ড্রাগনের সন্দেহ, ভারতের মদতেই ক্রমাগত চিন বিরোধিতার পথে হাঁটছে তিব্বতিরা (Tibet)। বেজিংয়ের দমননীতিও কোনও কাজে আসছে না বলে খবর। অগত্যা এবার কৌশল বদল করতে চাইছে ড্রাগন। আর তাই শিক্ষা ও রাজনৈতিক পাঠে পরিবর্তন আনার পথ ধরেছে তাঁরা। চিনা সংবাদ সংস্থা জিংহুয়ার দাবি, শনিবারের বৈঠকে তিব্বতিদের মনে ‘চিনা প্রেমের বীজ’ বুনে দিতে নির্দিষ্ট কিছু পরামর্শও দিয়েছেন জিনপিং। একইসঙ্গে, তিব্বতকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
কী পরামর্শ দিয়েছেন জিনপিং? সংবাদ সংস্থা জিংহুয়া সূত্রে খবর, তিব্বতের যুবসমাজকে বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী পাঠ পড়ানোর কথা ভাবছে বেজিং। একইসঙ্গে, স্কুল ও কলেজের সিলেবাসের অন্দরে চিনা প্রেমের বীজ বুনে দিতে চাইছে তাঁরা। সেই অনুযায়ী পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হবে বলেও খবর। একইসঙ্গে তিব্বতে চিনা কমিউনিষ্ট পার্টির ভিত শক্ত করতে নতুন তিব্বতের স্বপ্ন দেখাতে চাইছেন জিনপিং। যেখানের বৌদ্ধধর্মও চলবে চিনের অঙ্গুলি হেলনে। জানা গি্য়েছে, বৈঠকে তিব্বতের দায়িত্বে থাকা সেনাধিকারিকদেরও কর্মদক্ষতার প্রশংসা করেছেন জিনপিং। একইসঙ্গে আরও সতর্ক থাকাও বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
তিব্বতে দীর্ঘদিন ধরেই চিন বিরোধী আন্দোলন চলছে। ১৯০৯ সালে মঞ্চু সম্রাটের তিব্বত দখলের পর তত্কালীন দলাই লামা ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর দেশে ফিরে চিনা আগ্রাসন থেকে মুক্ত করে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ ঘোষণা করেন তিনি। সে দিন থেকেই এক প্রকার ‘ছায়াযুদ্ধ’ শুরু হয় চিন এবং তিব্বতের মধ্যে। আর দলাই লামাকে আশ্রয় দিয়ে তিব্বতের পরম বন্ধু হয়ে গিয়েছে ভারত। এবার সেই বন্ধুত্ব ভাঙতেই মরিয়া বেজিং। আর তাই চিনা প্রেমের বীজ বুনে ভারতকে কৌশলগতভাবে কোণঠাসা করতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.