সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দ্রুত উত্থান ঘটেছে চিনের (China)। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়ে তরবারি নাচাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে দুই আণবিক মহাশক্তি। আর লড়াই হলে পরিণাম হবে অকল্পনীয়। কিন্তু এহেন ডামাডোল পরিস্থিতিতে কিছুটা বরফ গলেছে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে। গতবছর বন্ধ করে দেওয়া পরস্পরের কনসুলেট খুলতে চলেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০২০ সালে চরবৃত্তির অভিযোগে টেক্সাস প্রদেশের হিউস্টনে চিনা কনসুলেট তথা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেয় ওয়াশিংটন। তারপরই পালটা দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের চেংদুতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের আদেশ দেয় বেজিং। ফলস্বরূপ, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমনায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ততর হয়ে ওঠে। এবার সেই ফাটল কিছুটা ভরতে আগ্রহী দুই দেশই। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বনধ কনসুলেটগুলি ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিনপিং ও বাইডেন। শীঘ্রই ভারচুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। সেখানে, ভিসা নীতি কিছুটা শিথিল করা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরমাণু অস্ত্র সম্ভারে রাশ টানা নিয়েও আলোচনা হবে।
গতবছর ট্রাম্প জমানায় মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মর্গ্যান অরটাগাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, আমেরিকার ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ এবং গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, আমেরিকার সর্বভৌমত্বে আঘাত করেছে চিন। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভিয়েনা চুক্তিতেই স্থির হয়েছিল, আমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানো যাবে না। সেই শর্ত ভঙ্গ করেছে বেজিং। ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস ছাড়াও, আমেরিকায় আরও পাঁচটি দূতাবাস রয়েছে চিনের। তার মধ্যে হিউস্টনের দূতাবাসটি বন্ধ করা হয়।
এদিকে, আমেরিকাকে পালটা দিয়ে বেজিং জানায়, চেংদুতে মার্কিন দূতাবাসের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে আর কোনওরকম কাজ চালানো যাবে না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় কূটনৈতিক ও কৌশগলগত দিক থেকে চেংদুর দূতাবাসটি আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রায় ২০০ জন কর্মী ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.