Advertisement
Advertisement

Breaking News

১০ বছরের বালকের ওজন ১৯২ কেজি, চিন্তায় বাবা-মা

আর্যর এই অস্বাভাবিক বেড়ে ওঠা মনে করিয়ে দেয় মুর্শিদাবাদের লোকমানের কথা৷ ১১ মাস বয়সে যার ওজন ছিল ২১ কেজি৷ দিনে ৫ লিটার দুধ খেত সে৷ অতিরিক্ত ওজনের কারণেই তাড়াতাড়ি পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছিল তাকে৷ ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার বাসিন্দা আর্যর বাবা-মাও একই ভয়ে রাত কাটাচ্ছেন৷

World’s fattest boy, weighing 192 kilos, put on crash diet
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 30, 2016 5:27 pm
  • Updated:July 11, 2018 2:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মানোর সময় সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল৷ কিন্তু দু’বছর কাটতেই অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করল ছোট্ট আর্য৷ ১০ বছরের বালকের এখন ওজন ১৯২ কেজি৷ আর্যই বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় বালক মনে করা হচ্ছে৷

e85298c8a09bf29cdb8859fa343fa3dbb797ed49-tc-img-preview

Advertisement

আর্যর এই অস্বাভাবিক বেড়ে ওঠা মনে করিয়ে দেয় মুর্শিদাবাদের লোকমানের কথা৷ ১১ মাস বয়সে যার ওজন ছিল ২১ কেজি৷ দিনে ৫ লিটার দুধ খেত সে৷ অতিরিক্ত ওজনের কারণেই তাড়াতাড়ি পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছিল তাকে৷ ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার বাসিন্দা আর্যর বাবা-মাও একই ভয়ে রাত কাটাচ্ছেন৷ মাত্র ১০ বছর বয়সে কীভাবে তাঁদের ছেলের এত ওজন বেড়ে গেল, বুঝতেই পারছেন না তাঁরা৷ আর্যর মা রোকায়া জানাচ্ছেন, বাড়িতেই স্বাভাবিক জন্ম হয়েছিল তাঁর সন্তানের৷ দু’বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে মোটা হতে থাকে সে৷ ছেলে স্বাস্থ্যবান হচ্ছে ভেবে প্রথমে খুশিই হয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু একটা সময় ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷ আর তখন থেকেই কপালে ভাঁজ পড়ে তাঁদের৷

d2331af5bfd0f8f4b7321b9724b57c3633bbe007-tc-img-preview

আর পাঁচটা কিশোরের মতো স্বাভাবিক হাঁটা চলাও করতে পারে না আর্য৷ যার ফলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার৷ বেশি কথা বলতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠে৷ ছেলেকে কীভাবে সুস্থ করে তুলবেন, ভেবে কুল-কিনারা করতে পারছেন না রোকায়া ও তাঁর স্বামী এডে৷ চিকিৎসককে দেখিয়েও সুরাহা হয়নি৷ কারণ তাঁরাও রোগ ধরতে পারেননি৷ বড় কোনও হাসপাতালে আর্যকে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা৷ তবে অর্থের অভাবে আর্যকে আর বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি এডে৷ ছেলের ওজন কমানোর জন্য একটি ডায়েট চার্ট বানিয়েছেন তাঁরা৷ সেই মতোই খাওয়ানো হচ্ছে আর্যকে৷ যে ছেলে দু’জন বড় মানুষের খাবার একবারে খেয়ে ফেলতে পারে, তাকে অল্প ভাত, ভেজিটেবল স্যুপ, গোমাংস ও সয়াবিন জাতীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে৷ বাবা-মায়ের আশা, একদিন তাঁদের ছেলে নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement