সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে এখন তালিবানের (Taliban) শাসন। কাবুলের রাস্তায় রাইফেল হতে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও লস্করের জঙ্গিরা। ফলে দেশটি ফের জেহাদিদের বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট। তাই এবার তালিবানের ‘আফগান আমিরশাহী’-কে অর্থ সাহায্য বন্ধ করল বিশ্ব ব্যাংক।
বিবিসি সূত্রে খবর, তালিবানের উপর চাপ বাড়িয়ে কাবুলকে দেওয়া আর্থিক মদত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে বিশ্ব ব্যংক। তার আগে আফগানিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার কথা জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (IMF)। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকার আমেরিকার সেন্ট্রাল ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ এবং অন্যান্য মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দ্য আফগান ব্যাংকের প্রায় ৯৫০ কোটি ডলার ‘ফ্রিজ’ করে দেয়, যাতে ওই অর্থ তালিবান তুলে নিতে না পারে।
২০০২ সাল থেকেই আফগানিস্তানকে আর্থিক মদত দিচ্ছে ওয়াশিংটন স্থিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা আইএমএফ। এপর্যন্ত যুদ্ধজর্জর দেশটির পুনর্নির্মাণে প্রায় ৫৩০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে ওই দেশে বিশ্ব ব্যাংকের দু’ডজনেরও বেশি প্রকল্প রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকেরই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আফগানিস্তানের (Afghanistan) ২০০০ কোটি ডলার জিডিপির (২০২০ সালের হিসাব) প্রায় ৪৩ শতাংশই বিদেশি অনুদান নির্ভর।কিন্তু তালিবান ক্ষমতায় আসায় অনুদানের টাকা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে বিবিসি’র প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ-এর মুখপাত্র বলেন, “আপাতত আফগানিস্তানকে দেওয়া অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের নীতি নিয়মমেনেই পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি।”
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন ফৌজ। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আমেরিকা। আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাস খানেকের লড়াইয়ের পর তালিবানকে কাবুল থেকে বিতাড়িত করে মার্কিন ফৌজ। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পালটেছে। প্রায় দুই দশক কেটে গেলেও তালিবানের বিনাশ সম্ভব হয়নি। কিন্তু গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিকে ফের গড়ে তুলতে প্রচুর আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করে ভারত, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.