ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: দোষ বলতে, তার রান্না করা ভাতে চুল পেয়েছিল বাড়ির মালকিন। আর সেই কারণেই বেদম প্রহার করা হল ১০ বছরের পরিচারিকাকে। এতটাই মারধর করা হল যে শিশুটি মারাই গেল। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়।
বছর দশেকের ওই শিশুটির নাম সাথী। মাত্র মাস দুয়েক হল সে কাজ নিয়েছিল ঢাকার দক্ষিণখানে। বাড়ির মালকিন কাজলরেখা পেশায় ডিস্ক জকি বা ডিজে। সাথীর বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে। নেহাতই পেটের দায়ে তার ঢাকায় আসা।
[ পাকিস্তানে ক্রমাগত বাড়ছে অমুসলিম ভোটারের সংখ্যা, শীর্ষে হিন্দুরাই ]
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা জানান, ঘটনাটি একেবারেই তুচ্ছ। ভাতের মধ্যে চুল পাওয়ার জন্যই সাথীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কাজলরেখার ক্ষেত্রে এটি কোনও নতুন বিষয় নয়। এর আগেও একাধিকবার সাথীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কাজলরেখার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ মে। সেদিন সাথী ভাত রান্না করে। ভাত খাওয়ার সময় তার মধ্যে একটা চুল পায় কাজলেরেখা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাথীকে প্রথমে কাঠের খুন্তি এবং স্টিলের বাসন দিয়ে মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে। তারপর কাজলরেখা তার চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে ধাক্কা মারে। এরপর তার গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। মারধরের ফলে সাথী মারা যায়। জানা গিয়েছে, মাথায় আঘাত লাগার ফলেই সাথীর মৃত্যু হয়।
[ দু’টি মামলায় জামিন পেলেন খালেদা জিয়া, তবে মিলছে না মুক্তি ]
তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়। খুন করার পর কাজলরেখা সাথীর মৃতদেহ গুম করার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। প্রথমে মৃতদেহ একটা হাড়ির মধ্যে লুকিয়ে তার উপর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে কাজলরেখা। সারারাত এভাবেই রাখার পর সকালে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে তার মা এবং মামাকে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। মামা একটি ব্যাগ কিনে সাথীর মরদেহ তার সাহায্যে গুম করার চেষ্টা করে। কিন্তু দেহ পাচারের সময় কোটবাড়ি রেলগেটে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে ধরা পড়ে গাড়িটি। কাজলরেখা পালিয়ে যায়। ২৬ মে পুলিশ কাজলরেখা এবং তার মাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, কাজলরেখা ইতিমধ্যেই তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.