সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জানতেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কিভের (Kyiv) পথে বেরোনো বিপজ্জনক। পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি। তথাপি মরিয়া হয়ে মায়ের ওষুধ আনতে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। আর রুশ গোলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল তরুণী ইউক্রেনীয় (Ukrainian) চিকিৎসাকর্মীর দেহ। যে মানুষটা যুদ্ধে আহত মানুষের সেবাকেই জীবনের ব্রত করছিলেন, দেশ ছাড়ার সুযোগ পেয়েও বিপন্নদের হাত ছাড়েননি, মর্মান্তিক মৃত্যু হল তাঁর।
৩১ বছর বয়সি ভ্যালেরিয়া মাকসেটস্কা (Valeriia Maksetska) আদতে দনেৎস্কের (Donetsk) বাসিন্দা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Ukraine-Russia War) শুরু থেকেই যুদ্ধে আহতদের সেবার কাজ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি দনেৎস্কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর পর বাধ্য হয়ে কিভের শহরতলিতে চলে আসেন ভ্যালেরিয়া। এখানেও একই কাজ করছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন ‘ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (USAID )’-এ। সেই মানুষটাইরই করুণ পরিনতি হল।
এদিন মায়ের ওষধের জন্য কিভের রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু কিভের শহরতলির একটি এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে কিছুদূর এগোতেই রুশ ট্যাঙ্কের ছোড়া গোলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তরুণী চিকিৎসাকর্মীর দেহ। কিছুদূরে দাঁড় করানো গাড়ির ভিতরে ছিলেন ভ্যালেরিয়ার মা ইরিনা ও গাড়ির ড্রাইভার। রুশ হামলায় তাঁদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
I’m enormously sad to share the death of Valeriia “Lera” Maksetska—proud Ukrainian, beloved @USAID implementing partner & brilliant, compassionate leader on building social cohesion & fighting disinformation.
She was killed by the Russian military just shy of her 32nd birthday. pic.twitter.com/ZoMJJN2CJW
— Samantha Power (@PowerUSAID) March 9, 2022
ভ্যালেরিয়ার মৃত্যুর কথা টুইট করে জানিয়েছেন ইউএসএআইডি সামান্থা পাওয়ার (Samantha Power)। তিনিই প্রথম দাবি করেন, রুশ গোলাতেই মৃত্যু হয়েছে সহকর্মীর। টুইট বার্তায় সামান্থা লেখেন, “ভ্যালেরিয়া “লেরা” ম্যাকসেটস্কা ইউক্রেনীয়দের গর্বিত করেছেন। প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদ জানাতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।” সামান্থা আরও লেখেন, “কদিন পরেই ছিল ওঁর ৩২ বছরের জন্মদিন। তার আগেই রুশ সেনা হত্যা করেছে ভ্যালেরিয়াকে।”
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রাইমিয়া আগ্রাসনের সময়ও সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসায় মাঠে নেমেছিলেন এই ইউক্রেনীয় চিকিৎসাকর্মী। এবারও নিজের সংস্থার তরফে যুদ্ধের শুরুর দিন থেকে সেই কাজই করছিলেন। সামান্থা পাওয়ার জানিয়েছেন, ভ্যালেরিয়া দেশে ছাড়ার সুযোগ পেয়েও সেই প্রস্তাবে না করে দিন। নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.