সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত সিকিম সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে মানস সরোবরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। মঙ্গলবার ভারতকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিল চিন। সম্প্রতি, সিকিমে ভারত-চিন সীমান্তে একাধিকবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লালফৌজের সৈনিকরা। তবে উল্টোসুর ধরে সীমান্তে ভারতের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছে বেজিং।
কয়েকদিন থেকেই সিকিমে সীমা বিবাদের জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। তার জেরেই গত সপ্তাহে নাথু লা পাস বন্ধ করে দেয় চিন। ওই পথ দিয়েই মানস সরোবর দর্শনে যান ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা। এদিন এক বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার খাতিরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
[সিকিম সীমান্তে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল ভারতীয় সেনা]
“দু’দেশের মধ্যে সীমা বিবাদ নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। তাই নিরাপত্তার খাতিরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নাথু লা পাস দিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মানস সরোবরে ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।” এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং। তিনি আরও অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ভারতীয় জওয়ানরা চিনা জমিতে অবৈধ নির্মাণ করছে। এবিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের উপর বরাবর নিজের দাবি জানিয়ে এসেছে চিন। এমনকী অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে মানচিত্রও ছাপিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। সম্প্রতি, দলাই লামার অরুণাচল সফর নিয়েও প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। যদিও তাতে কান দেয়নি দিল্লি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির আমেরিকা সফরে উদ্বিগ্ন চিন। তাই দিল্লির উপর চাপ বাড়াতে ফের সীমা বিবাদ উসকে দিচ্ছে বেজিং।
[তিন বছর পর আইএস ‘মুক্ত’ মসুল মাতল ইদ উদযাপনে]
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, চলতি মাসের প্রথম দিকে সিকিমের ডকা লা সেক্টরে সংঘাতে জড়ায় চিনা ও ভারতীয় সৈনিকরা। লালফৌজের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি ভারতীয় বাঙ্কার। উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর ভারত থেকে তীর্থযাত্রীদের ১৮টি দল মানস সরোবরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রত্যেকটি দলে ৬০ জন করে তীর্থযাত্রী থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নাথু লা পাস বন্ধ থাকলেও নেপাল সীমান্তের পাশে উত্তরাখণ্ডের লিপু লেখ পাস দিয়ে মানস সরোবর যাওয়ার পথ খোলা রয়েছে। যদিও বিপদসংকুল বলে ওই পথ সাধারণত এড়িয়ে চলেন তীর্থযাত্রীরা।
[১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পিজ্জা বানিয়ে গিনেসবুকে নাম তুললেন শেফরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.