সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঋণখেলাপি মামলায় পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। সূত্রের খবর, ভারতের তরফে অনুরোধের পরেই পলাতক হিরে ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার তাঁকে দেশের মাটিতে ফেরানোই লক্ষ্য দিল্লির। প্রশ্ন হল, কীভাবে চোকসির প্রত্যর্পণকে বাস্তবায়িত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি। কী বলছে ভারত ও বেলজিয়ামের সেই চুক্তি?
সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ পলাতক হিরে ব্যবসায়ী চোকসির বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। এখন তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রশ্নে ১২৪ বছরের ভারত-বেলজিয়াম সম্পর্কের কথা উঠছে। শুরুটা ঔপনিবেশিক আমলে। ইউরোপের এই দেশটির সঙ্গে ১৯০১ সালে একটি চুক্তি করেছিল ব্রিটেন। এরপর ১৯৫৮ সালে পুরনো চুক্তির সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করা হয়। ছয় দশক পরে ২০২০ সালে মোদি সরকার বেলজিয়ামের সঙ্গে নতুন করে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
কখন প্রত্যার্পণ সম্ভব?
২০২০ সালের চুক্তি অনুসারে ভারত এবং বেলজিয়াম কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে একমত হতে পারে। কোনও অপরাধের জন্য দুই দেশেই এক বছরের জেল বা তার চেয়েও বেশি শাস্তি হলে সেই অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। কর, রাজস্ব, অর্থনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে প্রত্যার্পণ মান্যতা পাবে। বেলজিয়াম তাদের নাগরিকদেরও প্রত্যর্পণ করতে পারে, কিন্তু তা করতে তারা বাধ্য নয়।
কখন প্রত্যার্পণ বাতিল হতে পারে?
কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির বিচারে প্রত্যর্পণের অনুরোধ বাতিল হতে পারে। রাজনৈতিক অপরাধীর ক্ষেত্রে খারিজ হতে প্রত্যার্পণের অনুরোধ। এছাড়া সামরিক অপরাধ, ধর্ম, লিঙ্গ, জাতপাতের ভিত্তিতে কাউকে শাস্তি দিতে চাইলে আবেদন খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেহুল চোকসির ক্ষেত্রে কী ঘটতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চোকসির ক্ষেত্র কোনও বাঁধাই কার্যকর হবে না। যেহেতু এক্ষেত্রে কর, রাজস্ব বা অর্থনৈতিক অপরাধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও চোকসির ক্ষেত্রে ভারতে প্রতারণা, দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। অতএব, মেহুল চোকসি ভারতে প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.