সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবার ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর (Chabahar Port) নিয়ে ১০ বছরের চুক্তি করেছিল ভারত। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই চপার দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। আর এর পরই প্রশ্ন উঠেছে, রাইসির প্রয়াণে কি চুক্তিতে তথা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে?
প্রসঙ্গত, রাইসি ( Ebrahim Raisi) বরাবরই ‘ভারত-বন্ধু’। তাঁর আমলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। পাকিস্তান বরাবরই চেষ্টা করে গিয়েছে রাইসিকে ভারতের থেকে দূরে সরাতে। কিন্তু তা করে উঠতে পারেনি ইসলামাবাদ। বরং কাশ্মীর ইস্যুর মতো জরুরি ইস্যুতে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ইরানকে। অবশ্য রাইসির আগেও ইরানের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কই ছিল। বহু পরীক্ষিত দীর্ঘ এই বন্ধুত্ব আমেরিকার রক্তচক্ষুরও পরোয়া করেনি। ইরান ও মার্কিন মুলুকের শত্রুতার কথা কারও অজানা নয়। স্বাভাবিক ভাবেই ওয়াশিংটন চায়নি ভারত তেহরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াক। কিন্তু নয়াদিল্লি সাফ বুঝিয়ে দিয়েছে দীর্ঘদিনের বন্ধুর হাত তারা ছাড়বে না।
রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর পরে ইরানের (Iran) পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন? উঠে আসছে ইসলামিক দেশটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুখবারের নাম। যদিও আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসাবেই দায়িত্ব সামলাতে পারেন তিনি। পুরোপুরিভাবে প্রেসিডেন্টের আসনে বসতে গেলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে মুখবারকে। শেষপর্যন্ত তিনি যদি মসনদে বসেন কিংবা অন্য কোনও নেতাকেও যদি দেখা যায় নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে, তাহলে তাঁর নীতি কী হবে কিংবা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে তিনি কোনওরকম বাধা হয়ে দাঁড়াবেন কিনা, এমন আশঙ্কা কেউ করতেই পারেন। কিন্তু আদপে এটা নিয়ে উদ্বেগের কোনও জায়গাই নেই নয়াদিল্লির কাছে।
আসলে রাইসি দেশের প্রেসিডেন্ট হলেও ইরানের প্রকৃত নীতি নির্ধারক তিনি নন। বলা যায় নীতিগুলি কার্যকর করাই তাঁর কাজ ছিল। ইরানের বিদেশ নীতি বা অন্যান্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই মূল সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম লিডার তথা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ফলে ভারত ও ইরান দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে কোনও প্রভাব পড়বে না, তা নিশ্চিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.