সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরের উপর আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টায় ক্রমশ সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে আমেরিকা ও চিন৷এমনই পরিস্থিতিতে বেজিংকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিল ওয়াশিংটন৷সোমবার, এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায় যে আমেরিকা দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের ও আন্তর্জাতিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর৷
ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে চিনের প্রতি কড়া মনোভাবই বজায় রাখবেন তা এই ঘোষণায় স্পষ্ট হল৷দক্ষিণ চিন সাগরে থাকা দ্বীপগুলো চিনের অংশ নয়৷সেগুলি আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যে অবস্থিত৷তাই দ্বীপগুলোতে চিনের আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানায় হোয়াইট হাউস|
বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরের দ্বীপগুলিতে পরিকাঠামো নির্মাণে বেজিংকে বাধা দিতে আমেরিকাকে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করতে হবে। এই বলে কয়েক দিন আগে আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছিল চিন৷তারপরই ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেট রেক্স টিলারসন বেজিংয়ের ‘দাদাগিরি’ রুখতে দক্ষিণ চিন সাগরের দ্বীপগুলিতে কোনওরকম পরিকাঠামো নির্মাণ করা থেকে চিনকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন৷
(তাইওয়ানের জলসীমায় চিনা রণতরী, যুদ্ধের দামামা দক্ষিণ চিন সাগরে)
এদিকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে অস্ত্র মোতায়েন করছে বেজিং৷ দৈত্যাকৃতির অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান, ক্লোজ ইন উইপন সিস্টেম বসছে কৃত্রিম দ্বীপে৷ কৃত্রিম মার্কিন উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, যুদ্ধবিমান, রণতরী থেকে ছোঁড়া ক্রুজ মিসাইলকেও রুখে দিতে পারবে চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা৷ পাল্টা হামলা চালাতেও তৈরি সাংঘাতিক সব অস্ত্র৷
এএমটিআই জানাচ্ছে, বেজিং বরাবরই দাবি করে এসেছে দক্ষিণ চিন সাগরে তারা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ওই দ্বীপগুলিতে সর্বক্ষণ মোতায়েন রয়েছে ফাইটার জেট, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল, সারফেস টু এয়ার মিসাইল৷ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ছলে আস্ত একটি ‘সারফেস টু এয়ার মিসাইল’ প্ল্যাটফর্ম বা ‘এসএএম’ গড়ে ফেলেছে বেজিং৷ ভবিষ্যতে যে কোনও মুহূর্তে চিন হামলা চালাতে পারে বলেও চূড়ান্ত আশঙ্কায় পেন্টাগন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.