সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নানা জল্পনার পরে অবশেষে ঘোষিত হয়েছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) মন্ত্রিসভা। জঙ্গিদের মন্ত্রিসভার নয়া প্রধান হয়েছে মহম্মদ হাসান আখুন্দ। রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত জঙ্গি আখুন্দই এখন আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। গত কয়েকদিন ধরে তালিবান (Taliban) সরকারের মুখ হিসেবে বারবার শোনা গিয়েছে মোল্লা বরাদর কিংবা আখুন্দজাদার নাম। তাদের সরিয়ে আচমকাই আখুন্দকে সেদেশের মসনদে দেখে প্রশ্ন উঠছে, কে এই আখুন্দ? কেন সরকারের শীর্ষপদে রাখা হয়েছে তাকে?
বরাবরের পাক-ঘনিষ্ঠ (Pakistan) আখুন্দ ২০ বছর ধরে তালিবানের কোয়েত্তা সুরারও মাথা। তুলনামূলক নরমপন্থী। আখুন্দজাদা বা মোল্লা বরাদরের মতো পরিচিত মুখও নয় সে। তবে আখুন্দের নাম রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায়। এমন একজনকে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে তালিবান সুপ্রিমো হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা ঘনিষ্ঠ মহম্মদ হাসান আখুন্দের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ওয়াকিবহাল মহল অন্তত অবাক হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, আখুন্দজাদা স্বয়ং তার অনুগামীর নাম প্রস্তাব করেছে। এদিকে তার পাকিস্তানের সঙ্গে ওঠাবসাও একটা ফ্যাক্টর বলে মনে করা হচ্ছে।
গত শনিবার পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ আফগানিস্তানে আসেন। তিনি দেখা করেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে। সেই সঙ্গে মোল্লা বরাদরের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তালিবান সরকার গড়ার পিছনে বিশেষ প্রভাব রয়েছে গুলবুদ্দিনের। এদিকে মোল্লা বরাদর হয়েছে উপ প্রধানমন্ত্রী। এই দুই প্রভাবশালীর সঙ্গে আইএসআই প্রধানের বৈঠকের পরই আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়ায় তালিবান সরকার গঠনে পাকিস্তানের ভূমিকাকেও অবহেলা করা যাবে না।
কান্দাহারে জন্ম নেওয়া আখুন্দ এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছে। এই সব অভিজ্ঞতাও তার নাম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সময় নিশ্চয়ই কাজ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.