ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুয়েক ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে লোহিত সাগর। সেখানে পণ্যবাহী জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হাউথি জঙ্গিগোষ্ঠী। এবার ইরানের মদতপুষ্ট এই জঙ্গিদের হামলা থেকে বাঁচতে কয়েকটি বাণিজ্যতরী নিজেদের চিনা জাহাজ বলে পরিচয় দিচ্ছে! কয়েকটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। কিন্তু কেন চিনকে ঢাল করছে তারা?
জানা গিয়েছে, লোহিত সাগরে (Red Sea) চলাচলকারী অন্তত নয়টি জাহাজ নিজেদের এআইএস সিস্টেম বদলে দিয়েছে। সেখানে জাহাজগুলো নিজেদের চিনা বাণিজ্যতরী হিসাবে দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছে, নাবিকেরাও সকলে চিনের (China)। বলে রাখা ভালো, আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে চলাচল করার জন্য প্রতিটি জাহাজে অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম বা এআইএস (AIS) ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এই সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি জাহাজের পরিচয় জানতে পারে আশপাশে থাকা অন্যান্য জাহাজগুলো। এই বিষয়টি প্রথম নজরে আসে সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের। প্রথমে ৫টি জাহাজকে শনাক্ত করে যারা নিজেদের চিনা পরিচয় দিচ্ছিল। তার পর মার্কিন সংস্থা বিজনেস ইনসাইডার আরও চারটি জাহাজ শনাক্ত করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হামাস বনাম ইজরায়েল সংঘাতে প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের পক্ষে রয়েছে হাউথিরা (Houthi)। অন্যদিকে চিনও পাশে দাঁড়িয়েছে প্যালেস্তিনীয়দের। গাজায় অভিযান নিয়ে ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হয়েছে বেজিং। পাশাপাশি হাউথিদের উপর ব্রিটেন ও আমেরিকার যৌথ বাহিনীর হামলার বিরোধিতাও করেছে। তাই মনে করা হচ্ছে, নিজেদের যদি চিনা জাহাজ হিসাবে দেখানো হয় তাহলে হয়তো হাউথিরা সেগুলোকে নিশানা করবে না। কারণ বেছে বেছে ইজরায়েলপন্থী দেশগুলোতেই মিসাইল ছুড়ছে জঙ্গিরা। তাই হামলার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিরাদের তরফে জানানো হয়েছে গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় বাণিজ্যতরীতে ড্রোন হামলা চালায় হাউথিরা। ইয়েমেনের এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ লোহিত সাগরে হাউথিদের মিসাইল ও ড্রোন ধ্বংস করে দেয় দুই দেশ। গত সপ্তাহেই মার্কিন হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে হাউথিদের এক রাডার স্টেশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.