সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের উপরে অতিরিক্ত ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। পালটা দিয়েছে চিনও। শুক্রবারই তারা ঘোষণা করেছে যে মার্কিন পণ্যের উপরে তারাও অতিরিক্ত ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। এবং তা কার্যকর হবে শনিবার থেকেই। স্বাভাবিক ভাবেই ওয়াকিবহাল মহল বিস্মিত বেজিংয়ের একরোখা মেজাজ দেখে। প্রশ্ন উঠছে, কী করে এতটা আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে চিন? কোন বলে বলীয়ান জিনপিং প্রশাসন?
আপাত ভাবে একটা কথা অনেক বিশেষজ্ঞেরই মনে হচ্ছে। যেখানে নিজেদের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়েই জেরবার চিন, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়া তাদের পক্ষে সঠিক পদক্ষেপ নয়। কিন্তু চিনা সরকার তাদের জনতার উদ্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকার ‘ধাক্কা’ সামলাতে তারা প্রস্তুত। সেই সঙ্গে জিনপিং প্রশাসন এও জানিয়েছে, এর ফলে মার্কিন রপ্তানিকারীরাও গভীর সমস্যায় পড়বেন। সোজা কথায় চিন পরিষ্কার করে দিয়েছে তারা পিছু হটবে না। আত্মসমর্পণও করবে না ট্রাম্পের কাছে।
এই মুহূর্তে চিন সফরে গিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ। তাঁকে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত ট্রাম্পের এই ‘খামখেয়ালি শুল্কযুদ্ধে’র প্রতিবাদে একসঙ্গে শামিল হওয়া। এখানেই শেষ নয়। আগামী সপ্তাহে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাচ্ছেন জিনপিং। ট্রাম্পের ‘শুল্ক-বাণে’ ঘায়েল হওয়া এই দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাবেন তিনি। এদিকে চিনা মন্ত্রীরা বৈঠক করছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব এমনকী ভারতের সঙ্গেও। পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে, চিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলে চিনা গাড়ির উপর থেকে ইউরোপীয় শুল্ক প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। অর্থাৎ, যেদিকেই তাকান সেখানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছে চিন।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের ‘দুই সুপারপাওয়ার’-এর এই শুল্কবৃদ্ধি এখন প্রায় অর্থহীন হয়ে উঠেছে। কারণ দুই দেশের বাণিজ্যের দিকটি এতটাই ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যে এখন তা অর্থহীনই হয়ে পড়েছে। তাই এই পারস্পরিক শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়টি যেন প্রতীকী হয়ে উঠেছে। কাজেই চিনের এই ‘অকুতোভয়’ আচরণ আসলে নিপুণ কূটনৈতিক চাল, একথা বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.