Advertisement
Advertisement

Breaking News

WHO CoronaVirus Vaccine

দ্রুত আসছে করোনার ভ্যাকসিন! সদস্য দেশগুলিকে টিকা বিতরণের প্রস্তুতি নিতে বলল WHO

বছর শেষেই হাতে আসতে পারে ভ্যাকসিন, দিন দুই আগে জানান WHO প্রধান।

WHO urges countries to plan for efficient roll-out of coronavirus vaccines |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 8, 2020 2:36 pm
  • Updated:October 8, 2020 2:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দুই আগেই সামান্য আশার আলো দেখিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) ঘোষণা করেছিলেন, চলতি বছরের শেষের দিকেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল WHO। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সুসংহতভাবে ভ্যাকসিন (CoronaVirus Vaccine) বিতরণের জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হল। অনেকেই মনে করছেন WHO’র এই নির্দেশিকার অর্থ, দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার ব্যাপারে সত্যিই আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর ডাঃ পুণম ক্ষেত্রপাল সিং বলছেন,”বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো এই এলাকাতেও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে আমাদের শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং সুসংহত জনস্বাস্থ্য পরিষেবায় নজর দিতে হবে। শীঘ্রই করোনা টিকার প্রস্তুতি নিয়ে আশাবাদী WHO। সুতরাং, সব দেশকেই এখন উপযোগী এবং সহযোগিতাপূর্ণ একটা পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে সবার কাছে সহজেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যায়।” ডাঃ পুণম ক্ষেত্রপাল সিং বলছেন, বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। তবে, শুরুর দিকে সম্ভবত আমাদের হাতে কম পরিমাণ ভ্যাকসিন থাকবে। তাই ভ্যাকসিন বিতরণের স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকাটা ভীষণ জরুরি। WHO’র ওই আধিকারিক বলছেন, আমাদের লক্ষ্য হবে শুরুর দিকে এমন মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যাদের প্রাণহানির ঝুঁকি বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব দেশকে প্রস্তাব দিচ্ছে, শুরুতে ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখুন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমার করোনা ঈশ্বরের আশীর্বাদ’, ভিডিও বার্তায় ফের বেফাঁস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প]

রাশিয়া ইতিমধ্যেই নিরাপদ এবং উপযোগী করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করে ফেলেছে। চিনও দাবি করছে, তাঁদের দেশে তৈরি অন্তত তিনটি ভ্যাকসিন আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আসার জন্য প্রস্তুত। আমেরিকার দুটি সংস্থা মডার্না এবং ফাইজারও ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্বে। আর এইসব ভ্যাকসিনের থেকে লড়াইয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা। কিন্তু বিশ্বের বহু দেশ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শোনালেও এতদিন কার্যত চুপ ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই নীরবতা ভঙ্গ করে গত মঙ্গলবার WHO প্রধান জানান, “এই রোগের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে আমাদের প্রথম প্রয়োজন ভ্যাকসিনের। আর আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষের দিকেই আমাদের হাতে নিরাপদ এবং উপযোগী ভ্যাকসিন চলে আসবে।” তারপরই শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন বিতরণের তৎপরতা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement