ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিকে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। কিন্তু তা বলে তো বছরভর এভাবে ঘরবন্দি থাকা সম্ভব নয়। এমনিতেই টানা লকডাউনের ফলে বহু মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই যে দেশগুলিতে এখন লকডাউন চলছে, তাদের এই বন্দিদশা কাটানোর উপায় বাতলে দিল WHO। বলা ভাল, একটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হল। এই এই বিষয়গুলি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন তোলা যাবে না।
কী আছে WHO-এর সেই গাইডলাইনে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে লকডাউন তুলতে হলে অন্তত ৬টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আক্রান্ত দেশগুলিকে।
১। সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
২। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, সংক্রমণ হলেও আক্রান্তদের সনাক্ত করে তাঁদের পরীক্ষা, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।
৩। হাসপাতাল বা নার্সিং হোমগুলিতে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
৪। স্কুল, অফিসের মতো প্রয়োজনীয় জায়গায় করোনা প্রতিরোধ করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।
৫। কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত।
৬। নতুন স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সকলে সচেতন এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত।
এই গাইডলাইন জারি করে WHO প্রধান টেডরোজ আধানম গেবিয়াসেস (Tedros Adhanom Ghebreyesus ) বলেন, “আমরা জানি এই ভাইরাস জনবহুল জায়গা থেকে ছড়ায়। আবার আমরা এটাও জানি যে, শুরু থেকে রোগীকে সনাক্ত করে, পরীক্ষা করে আইসোলেট করতে পারলে এমনিই এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাছাড়া, বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে এমনিতেই জনবহুল এলাকায় থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসার সুযোগ ন্যূনতম। লকডাউনের জেরে তাঁরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁদের বাড়িতে থাকা মানে খাবারা জোগাড়ের চিন্তা।এভাব লকডাউন চললে যারা দিন আনে দিন খাই তাঁদের চলবে কীভাবে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.