Advertisement
Advertisement
Joe Biden

‘শ্বেত সন্ত্রাস’ আমেরিকার জন্য বিপদ, মার্কিন কংগ্রেসে আশঙ্কা প্রকাশ বাইডেনের

দেশের আত্মার ক্ষতে প্রলেপ দিতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান বাইডেনের।

White Supremacy Is Terrorism, Most Lethal Threat To America: Joe Biden | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 29, 2021 4:09 pm
  • Updated:April 29, 2021 4:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ। এটা সন্ত্রাসবাদের আরও এক রূপ। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথমবার বক্তৃতা দিতে এসে এমনটাই বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)।

[আরও পড়ুন: করোনায় বেসামাল ভারত, মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত দেশের ফেরার নির্দেশ বাইডেন প্রশাসনের]

এদিন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ নিয়ে মার্কিন সাংসদদের সতর্ক করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিদেশি শক্তির থেকেও বড় বিপদ শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ। আমরা এটা কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারি না যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, এই মুহূর্তে দেশের জন্য সবথেকে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ। এটা সন্ত্রাসবাদ। এই সতর্কবার্তা আমরা কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারি না। আমার প্রিয় দেশবাসী,  দেশের আত্মায় যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা সারিয়ে তুলতে হবে।” সংসদে নিজের ভাষণে ক্যাপিটল বিল্ডিং হামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন বাইডেন। তিনি বলেন, “আমাদের সবার মনে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ছবি এখনও পরিষ্কার রয়েছে। ওই হামলায় প্রাণহানি হয়েছে। অনেকের প্রাণ সংশয় হয়। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাহসিকতার পরিচয়ও পাই আমরা। ওই হামলায় আমাদের গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার পরীক্ষা ছিল। এবং আমরা তাতে সফলভাবে উতরে গিয়েছি।”

Advertisement

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র দিতে শুরু হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। কিন্তু তারপরই ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। ট্রাম্পপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুরু হয় ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া। যদিও ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: করোনায় বেসামাল ভারত, মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত দেশের ফেরার নির্দেশ বাইডেন প্রশাসনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement