Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন আমেরিকা

সীমান্তে অযথা সেনা কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে চিন, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে তোপ আমেরিকার

করোনা আবহে চিন-ভারত সীমান্তে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা।

White House slams China for coercive military activities against neighbours
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 22, 2020 9:40 am
  • Updated:May 22, 2020 9:40 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে হঠাৎই ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দোষারোপ পালটা দোষারোপে সরগরম দুই প্রতিবেশী দেশের কূটনীতি। এই পরিস্থিতিতে ভারতেরই পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের তরফে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযথা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের (পড়ুন ভারতের) সীমান্তে সেনা কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে চিন। যা প্ররোচনামূলক এবং নিন্দনীয়।

উল্লেখ্য, সোমবার আকসাই চিন এলাকার গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ফৌজের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ পরিকাঠামো গড়ে তোলার অভিযোগ এনেছে বেজিং। নয়াদিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। অথচ, বাস্তবে চিনই সিকিম সীমান্তে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগে সিকিমের নাকু লা সেক্টরে টহলদারি চালানোর সময় ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অনু্প্রবেশ করে তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান কর্তব্যরত ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এর ফলে চিনের সাতজন সেনা ও চারজন ভারতীয় জওয়ান সামান্য জখম হন। কয়েকদিন আগেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর হানা দিয়েছিল চিনা ফৌজের হেলিকপ্টার। সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছুটে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান। এ হেন কার্যকলাপ চালানোর পর আবার চিনারাই ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ করেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতীয় জওয়ানরা সীমানার মধ্যেই আছেন, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বেজিংকে কড়া জবাব দিল্লির]

বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘সমস্ত ভারতীয় কর্মকাণ্ড প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control)-এর ভিতরে থাকা ভারতের সীমান্তের মধ্যেই হয়। কিন্তু, কয়েকদিন ধরে চিনের দিক থেকেই ভারতীয়দের দৈনন্দিন টহলদারির কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ ভারতের সেই অবস্থানকেই সমর্থন করল আমেরিকা। হোয়াইট হাউস বলছে, বেজিং নিজেদের নেতার সেনা আগ্রাসন বিরোধী অবস্থানই মানছে না। বেজিংয়ের কার্যকলাপ চিনের সেই দাবি খন্ডন করছে, যে তাঁরা সেনা কার্যকলাপ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাজে বাধা দানের পরিপন্থী। সীমান্তে সেনা এবং আধাসেনা কার্যকলাপ চালিয়ে বেজিং নিজেদেরই দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে এবং প্রতিবেশীদের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না।যা প্ররোচনামূলক এবং উসকানিমূলক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement