সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) সম্প্রদায়ের সমর্থনে প্রাইড ফ্ল্যাগ উত্তোলন করা হল হোয়াইট হাউসে (White House)। তার জেরেই নাগরিকদের তুমুল রোষের মুখে পড়ল জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকদের অভিযোগ, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আসলে দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। দেশের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে এমন আচরণ একেবারেই বরদাস্ত করা যায় না। প্রসঙ্গত, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সমর্থনে গোটা জুন মাস ধরে পালিত হয় প্রাইড মান্থ (Pride Month)। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই রামধনু রঙা পতাকা উত্তোলন করা হয় হোয়াইট হাউসে।
গত শনিবারই রামধনু রঙের পতাকায় সেজে ওঠা হোয়াইট হাউসের একটি ছবি টুইট করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ছবি দিয়ে তাঁর বার্তা, “জনতার হাউস-আপনাদের হাউস আজ বিশ্বের কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে চায়। আমেরিকা (USA) হল গর্বের দেশ।” এই ছবির পরেই দেখা যায়, নতুন ভাবে মার্কিন পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে। মাঝখানে প্রাইড ফ্ল্যাগ রেখে দু’পাশে রয়েছে মার্কিন জাতীয় পতাকা- এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।
তারপরেই নেটদুনিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন আইন তুলে ধরেন নেটিজেনরা। তাঁদের মতে, মার্কিন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। যদি অন্য দেশ বা সংস্থার পতাকার সঙ্গে মার্কিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হয়, তাহলে একেবারে মাঝখানে রাখতে হবে আমেরিকার পতাকা। এমনকি অন্য পতাকার তুলনায় মার্কিন পতাকাকে উঁচুতেও রাখতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়মের সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম হয়েছে। এই আইন মনে করিয়ে দিয়ে মার্কিন প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন দেশের নাগরিকরা।
মার্কিন সেনেটর রজার মার্শাল টুইট করে বলেন, “এটা আসলে অপমান। শুধুই মার্কিন জাতীয় পতাকার অপমান নয়, দেশপ্রেমের বিরোধিতা। হোয়াইট হাউসের নিজস্ব সামাজিক ধারণা ছড়িয়ে দিতে এহেন আচরণ মার্কিন প্রশাসনের। জনৈক নেটিজেনের মতে, “এটা বাইডেন হাউস নয়, হোয়াইট হাউস। এলজিবিটিকিউ সমর্থনে পতাকা (Pride Flag) লাগিয়ে এই ভবনের সম্মান নষ্ট করা যায় না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.