সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) টুইটারে ‘আনফলো’ করা নিয়ে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করল হোয়াইট হাউস। আমেরিকার এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, এটাই নাকি দস্তুর। হোয়াইট হাউস (White House) শুধুমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের সময় আয়োজক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ফলো করে। সফর শেষ হলেই আনফলো করে দেওয়া হয়।
মার্কিন আধিকারিকদের যুক্তি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শুধুমাত্র মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কয়েকজন আমলার টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করে। অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রনেতাদের ফলো করে না। শুধুমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের পর আয়োজক দেশ কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে তা জানতে এবং তাঁদের প্রতিক্রিয়া রিটুইট করতে সেই দেশের শীর্ষনেতাদের কিছু টুইটার হ্যান্ডেল অল্প সময়ের জন্য ফলো করা হয়। পরে প্রয়োজন মিটলে আবার তা ‘আনফলো’ করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে কোনও কূটনীতির সম্পর্ক নেই। বাস্তবিকই এই মুহূর্তে হোয়াইট হাউস টুইটারে ফলো করছে মাত্র ১৩ জনকে। এর মধ্যে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতা নেই।
উল্লেখ্য, মাত্র ৩ সপ্তাহ ফলো করার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘আনফলো’ করে দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস। মোদির ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তর-সহ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত মোট ৫টি টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘আনফলো’ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন। যা নিয়ে ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। হঠাৎ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে ‘আনফলো’ করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। বিদেশ মন্ত্রককে এই বিষয়টিতে নজর দিতে অনুরোধ করেন তিনি। তারপরই আমেরিকার তরফে এই ব্যাখ্যা পাওয়া গেল।
I’m dismayed by the “unfollowing” of our President & PM by the White House. I urge the Ministry of External Affairs to take note.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 29, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.