ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন জি-২০ সামিট নিয়ে তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ। এই সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চিনের চোখ রাঙানির মাঝেই আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আসন্ন জি-২০ সামিটের আয়োজক দেশ ভারত। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দু’দিন চলবে এই সম্মেলন। তার আগে ৭ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে আসছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জি-২০ সামিটের আগেই আলোচনায় বসছেন বাইডেন ও মোদি। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ঐতিহাসিক এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার জি-২০ সামিটে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন বাইডেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন বিষয় যেমন- জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নতি নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের সামাজিক প্রভাব, কীভাবে বিশ্ব ব্যাংকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, দারিদ্র দূর করা যায় সেই বিষয়েও আলোচনা করা হবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আগে মোদি-বাইডেন বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও চিন সাগরে লালফৌজের আগ্রাসানের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে আমেরিকা ও ভারত। ফলে জি-২০-র মঞ্চ থেকে দুই মিত্রদেশ চিনকে কী বার্তা দেয় তার দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। এরই মাঝে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে নয়াদিল্লির সঙ্গে ফের সংঘাত তীব্র করেছে বেজিং। ফলে মহা সম্মেলনের আগেই কী কী বিষয়ে জিনপিং প্রশাসনকে আক্রমণ শানানো যায় তা ঠিক করে নিতে পারেন মোদি ও বাইডেন। তবে এই সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতি নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। অনেকেই মনে করছেন এর নেপথ্যে রয়েছে নতুন ম্যাপ তরজা।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দহরম মহরম বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়া ক্ষুব্ধ। এই প্রেক্ষপটে মোদি-বাইডেনের ঐতিহাসিক বৈঠক ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কে কী প্রভাব ফেলবে তা দেখার। কারণ আমেরিকার মদতে এবার ভারতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই এই চুক্তিতে সম্মতি দিয়ে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর হতে চলা বৈঠকে আলোচনা হবে এই চুক্তি নিয়েও। যা ভাল চোখে নাও দেখতে পারে মস্কো। ফলে আমেরিকা ও রাশিয়া দুই মিত্র দেশের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখতে ভারত কোন কূটনৈতিক চাল দেয় সেদিকেই এখন নজর সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.