সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে ইজরায়েলে মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে ইরানের (Iran) সেনাবাহিনী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই দাবি সেদেশের সেনার মুখপাত্রের। তিনি জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্রুজ মিসাইলকেই ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা করা হলেও ইজরায়েলের ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার আগেই তাদের অধিকাংশই ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। খুব সামান্যই আছড়ে পড়েছে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কী এই ‘আয়রন ডোম’ (Iron Dome)? সহজে বললে এই সিস্টেমে রয়েছে একটি অতি শক্তিশালী রাডার, যা ধেয়ে আসা রকেট শনাক্ত করতে পারে। একটি উন্নত কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, যা কোন দিক থেকে আক্রমণ হবে, ঠাহর করতে পারে। একটি অত্যাধুনিক ইন্টারসেপ্টর যা কোনও রকেট আছড়ে পড়ার আগেই তাকে ধ্বংস করতে পারে। শুধু এই সবই নয়। ইজরায়েলের (Israel) বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ সিস্টেম এতটাই ক্ষমতাবান যে, তার ‘রিস্ক অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’-এর কম্পিউটার অঙ্ক কষে বলে দিতে পারে, আকাশপথের কোনও আক্রমণে জনজাতি বিপন্ন হতে চলেছে কি না। আর এহেন হাতিয়ার দিয়েই প্রতিপক্ষের হামলা সফলভাবে রুখে দিতে পেরেছে ইজরায়েল।
তবে প্রচুর গুণাগুণ থাকলেও এ কথাও একইভাবে সত্যি যে, এই ‘আয়রন ডোম’ সিস্টেমের কিছু ত্রুটিও রয়েছে। সব ধরনের বিপদ প্রতিহত করা এটির পক্ষে সম্ভব নয়। যেমন রাডারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অল্প উচ্চতায় উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে পারে না এই হাতিয়ার। ২০১১ সালে এই ডোম সিস্টেম কাজ করা শুরু করে। দু’টি ইজরায়েলি সংস্থা, রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস এবং ইজরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিস, এটির স্থপতি। তবে আমেরিকা থেকেও প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.