ইরানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি: ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান ও আমেরিকার সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ মধ্যপ্রাচ্য। যে কোনও মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারে যুদ্ধের আগুন। এহেন বিস্ফোরক পরিস্থিতিতে শান্তি স্থাপনে ‘বন্ধু’ ভারতের সাহায্য চাইল ইরান।
ভারতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি শেগেনি বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে ভারত কোনও পদক্ষেপ করলে সেটিকে স্বাগত জানাবে ইরান।’ নয়াদিল্লির উদ্বেগ কমিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির জেরে কোনওভাবেই ছাবাহার বন্দরে ভারতের কাজে ব্যাঘাত পড়বে না।’ বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতে চাইছে না ইরান। কিন্তু, নিহত জেনারেল কাশেম সোলেমানির জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, মার্কিন হামলার জবাব না দিলে জনরোষের মুখে পড়তে হত তেহরানের ক্ষমতাসীনদের। তাই ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হয়ে গেলে, এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইছে ইরান। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির সদ্ভাব কাজে লাগিয়ে আমেরিকাকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাইছে ইরান।
এদিকে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, জরুরি কোনও কাজ না থাকলে ভারতীয়দের ইরাক সফর এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ভারতে যাতায়াত করা যাত্রীবাহী বিমানগুলিকে উপসাগরীয় এলাকার ত্রিসীমানায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দুবাইগামী সব বিমান সৌদি হয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করছে। না হলে সেগুলি আমেরিকা বা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কবলে পড়তে পারে। মুখপাত্র রবীশ কুমারের টুইট, ‘ইরাকে যে ভারতীয়রা আছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাস।’ ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হলে উপসাগরীয় এলাকায় থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ তারা দ্রুত শুরু করে দেবে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু হুমকি দিয়েছেন, ‘ইরান হামলা চালালেই নজিরবিহীন বদলা নেওয়া হবে।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের স্মৃতি উসকে দিয়েছে ইরানের হামলা। ওই যুদ্ধে ইরাকের ছোড়া স্কাড মিসাইলগুলিকে প্রতিহত করতে ইজরায়েল ব্যবহার করত পেট্রিয়ট মিসাইল। উল্লেখ্য, তেহরানে যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস থেকে পরমাণুকেন্দ্রে মৃদু ভূমিকম্প এবং যুদ্ধের আবহ, সব মিলিয়ে বুধবার ‘কালো দিন’ হয়ে দেখা দেয় ইরানে। কিন্তু সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউস থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতির উদ্দেশে ভাষণ অনেকটাই স্বস্তি এনে দেয় ইরানবাসীর মনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.