Advertisement
Advertisement
Bangladesh

‘ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই’, প্রিজন ভ্যান থেকে বার্তা চিন্ময় প্রভুর, ‘জয় শ্রীরামে’ কাঁপল চট্টগ্রাম

হিন্দুদের বিক্ষোভ থামাতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। উত্তাল এই পরিস্থিতিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

We want united Bangladesh, Hindu monk's powerful speech from prison van

প্রিজন ভ্যানে চিন্ময়। ছবি: AP

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:November 26, 2024 8:49 pm
  • Updated:November 26, 2024 9:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার পথে আবারও উত্তাল হয়ে উঠল চট্টগ্রামের রাজপথ। প্রিজন ভ্যান থেকেই চিন্ময় প্রভু বার্তা দিলেন, ‘আমরা কোনও দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নই, আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ।’ সেখানেই জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন হিন্দুরা।

সোমবার বিকেলে চিন্ময় প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয় তাঁকে। শুনানি শেষে জামিন খারিজ হয় এই হিন্দু সন্ন্যাসীর। চিন্ময়কে আদালতে পেশের আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল আদালত চত্বরে। জামিন খারিজ হতেই গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। প্রিজন ভ্যান আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ। হিন্দুদের বিক্ষোভ থামাতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। উত্তাল এই পরিস্থিতিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
চিন্ময়ানন্দের ভক্তদের উপর লাঠিচার্জ। ছবি: AP

আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, “আমাদের দাবিকে সমর্থনের জন্য ইসলামিক দলগুলির পাশাপাশি সকলের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি। আমরা সব গোষ্ঠীর জন্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। এই দেশকে আমরা ভালোবাসি, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ।” উল্লেখ্য, ইসকনের সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছিল। এই মামলায় অভিযুক্ত চিন্ময় প্রভু-সহ মোট ১৯ জন। ঠিক কী ঘটেছিল?

চিন্ময়ানন্দের ভক্তদের উপর লাঠিচার্জ। ছবি: AP

বন্দরনগর চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া ধ্বজা টাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী ও ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে। এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে আরও ১৭ জন। ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি সকলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদোহ মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগেই সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে। ওই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সোমবার রাত থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার ইউনুস সরকারকে কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছে ভারত সরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement