Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan Army chief

‘হিন্দুদের সঙ্গে কোনওদিন…’, ফের ‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ উসকে রণহুঙ্কার পাক সেনাপ্রধানের

দেশভাগ হয়েছিল দ্বিজাতি তত্ত্বে ভিত্তিতে, মনে করালেন পাক সেনাপ্রধান।

We are different from Hindus: Pakistan Army chief invokes Two-Nation Theory again
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 17, 2025 2:04 pm
  • Updated:April 17, 2025 2:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বলছে বালোচিস্তান। পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। ভেঙে পড়ছে অর্থনীতিও। সব মিলিয়ে ভয়াবহ সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে ফের ভারতের বিরুদ্ধে বিষেদগার করলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। ফের দ্বিজাতি তত্ত্ব আওড়ে পাকিস্তানিদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগানোর চেষ্টা করলেন মুনির।

অনাবাসী পাকিস্তানিদের এক সমাবেশে পাক সেনাপ্রধান রীতিমতো আবেগ জড়ানো ভাষায় বলে গেলেন, “আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। কোনওদিন আমাদের মধ্যে কোনও মিল ছিল না। আর ছিল না বলেই দুটো আলাদা দেশের প্রয়োজন পড়েছে।”

Advertisement

পাক সেনাপ্রধান ফের মনে করালেন, পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আসিম মুনির বললেন, “আমাদের পূর্বপুরুষেরা মনে করেছিলেন হিন্দু এবং মুসলমান সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের স্বভাব, আচার আচরণ, রীতিনীতি সব আলাদা। আমাদের সংস্কৃতি আলাদা, চিন্তাভাবনা আলাদা, আশা-আশঙ্কা সব আলাদা। আর সেটাই দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি।” পাক সেনাপ্রধান বলছেন, “পাকিস্তানের জন্মের এই গল্প আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম বলে যেতে হবে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম সেই গল্প ভুলে না যায়। এই দেশ পাওয়ার জন্য আমাদের বহু আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। আমাদের বহু আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। সেই কাহিনী প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে করাতে হবে।”

বস্তুত, বালোচ বিদ্রোহী এবং ভারতীয় সেনাকে এক সারিতে বসিয়ে পাক সেনাপ্রধানের দাবি, “আমরা ১৩ লক্ষ ফৌজের ভারতীয় সেনাকেই ভয় পাই না। তাহলে এই জঙ্গিরা কী করে পাক সেনাকে হারাবে?” একই সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুও ফের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন আসিম মুনির। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। কাশ্মীর আমাদের জিউগুলার ভেন। ছিল, আছে, থাকবে। কাশ্মীরি বীর ভাইরা যে সংগ্রাম চালাচ্ছেন, আমরা তাঁদের ছাড়ব না।কাশ্মীরকে কোনওদিন ভুলবে না পাকিস্তান।”

বস্তুত, দ্বিজাতি তত্ত্ব থেকে কাশ্মীর সব ইস্যুকেই খুঁচিয়ে ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে চাইলেন পাক সেনাপ্রধান। যদিও কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, সবটাই রাজনৈতিক কারণে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বালোচ বিদ্রোহের মতো পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই তাঁর এই প্রচেষ্টা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub