সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম সম্মেলনের মাঝেই শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে একান্তে আলোচনায় বসেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। শুক্রবার থেকে আজারবাইজাইনের রাজধানী বাকুতে শুরু হয় অষ্টাদশ নাম সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে নামগোষ্ঠীভুক্ত ১২০টি দেশ। ভারত নামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
এবার নাম সম্মেলনে (নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট সামিট বা নাম সামিট) ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। সম্মেলনের ফাঁকেই শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন নাইডু। গত তিন বছর ধরে নামকে যথোচিত নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শনিবার ভেনেজুয়েলাকে অভিনন্দন জানান নাইডু। বৈঠক শেষে টুইটারে নাইডু লিখেন, ‘উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও স্বার্থ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ সদর্থক আলোচনা হয়েছে।’ এর আগে, শুক্রবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ গনির সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভেনেজুয়েলার মার্গারিটা দ্বীপে নামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভেনেজুয়েলাকে তিন বছরের চেয়ার কান্ট্রি নির্বাচিত করা হয়। গত শুক্রবার শুরু হয় নাম সামিট| বেঙ্কাইয়ার নেতৃত্বে সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত থেকে গিয়েছে এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। নাইডুর সঙ্গে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার তিনি কুয়েত এবং বাহারিনের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এবারও নাম সম্মেলনে এড়িয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধুমাত্র মোদিই নন। এর আগে ১৯৭৯ সালে এনএএম সামিটে যোগ দেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং। কিন্তু সে অর্থে মোদির সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা যায় না, কারণ সিং মূলত ছিলেন ‘তত্ত্বাবধায়ক’ বা ‘কেয়ারটেকার’ প্রধানমন্ত্রী। আর সে কারণেই নির্জোট সম্মেলনে মোদির না যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জাতিবিদ্বেষ, ঔপনিবেশিকতার মতো ‘চ্যালেঞ্জ’ প্রতিহত করতে অন্যান্য কিছু দেশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে যে ‘নাম’ প্রতিষ্ঠা করেছিল ভারত, তার কাছেই আজ আর এই সংগঠনের কোনও গুরুত্ব নেই? কূটনৈতিক মহলের অবশ্য ব্যাখ্যা, যে সময় এবং পরিস্থিতিতে নাম গড়ে তোলা হয়েছিল, তার বেশিরভাগই আজ অপ্রাসঙ্গিক। বরং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সন্ত্রাসবাদ। আর মোদি সরকার মনে করে, নামের মতো সংগঠনের মাধ্যমে সেই সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। সে কারণেই সম্ভবত নির্জোট সম্মেলন ভারতের মতো দেশের কাছে অনেকাংশেই গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। তবে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের মতো দেশের কাছে এই সংগঠনের গুরুত্ব এখনও আগের মতোই আছে।
[আরও পড়ুন: জমি হারাচ্ছে হেজবোল্লা, প্রচণ্ড বিক্ষোভে উত্তাল লেবানন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.