ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ইউক্রেন সফরে গিয়ে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার মোদিমন্ত্রেই কি থামতে চলেছে যুদ্ধ? শান্তির পথ খুঁজতে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসবে কিয়েভ? জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই সংঘাত থামনোর ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘নীল নকশা’ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে কয়েকটি শর্তও রয়েছে কিয়েভের।
মাটি কামড়ে রণক্ষেত্রে লড়াই করছে ইউক্রেনীয় সেনা। রাশিয়াকে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ তারা। গত তিন সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ভয়ানক অভিযান চালাচ্ছে কিয়েভ। পালটা মার দিচ্ছে মস্কোও। ফলে হানাহানি, রক্তপাত, হামলা পালটা হামলায় বজায় রয়েছে যুদ্ধের ঝাঁজ। আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও এই সংঘাতের কোনও রফাসূত্র মেলেনি। এর মাঝেই ইউক্রেনে গিয়েছিলেন মোদি। যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে জেলেনস্কিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, আলোচনার পথে হাঁটতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু মস্কোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে কিছু শর্ত রয়েছে। যা নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা বাইডেনকে জানাবে কিয়েভ।
২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাঁধভাঙা জলের জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তার পর থেকে জারি রয়েছে লড়াই। দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ করার ফলে গত কয়েকমাস ধরে রণক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল কিয়েভকে। কিন্তু এখন তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যেভাবে পুতিন বাহিনী ইউক্রেনে ঢুকে অভিযান শুরু করেছিল এবার সেভাবেই কার্স্কে ঢুকে আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। তাই রাশিয়াকে সহজে মাটি ছেড়ে দেবে না ইউক্রেন। বাইডেনকে দেওয়া ‘নীল নকশা’ নিয়ে জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমাদের পরিকল্পনার প্রথম পয়েন্টই হল রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করা। আমি স্পষ্ট জানাতে চাই, যা ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য হবে সেটাই করা হবে।” এর থেকে বেশি তিনি আর কিছু জানাননি। আগামী মাসে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় যেতে পারেন জেলেনস্কি। তখনই তিনি দেখা করবেন বাইডেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। এই সাধারণ সভাতেই ভাষণ রাখবেন মোদি।
উল্লেখ্য, রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আলিঙ্গন করা নিয়ে মোদিকে তোপ দেগেছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু এখন মোদি-ম্যাজিকে মুগ্ধ তিনি। অতীতের তিক্ততা ভুলে যুদ্ধ বন্ধে তাঁর ভরসা মোদিই। বিশ্লেষকদের মতে, মোদির পরামর্শে যদি আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রাশিয়া তাহলে তা বিরাট কুটনৈতিক জয় হবে। পুতিনের সঙ্গে মোদির সখ্যের কথা কারও অজানা নয়। এদিকে, তিক্ততা ভুলে জেলেনস্কির কাছে মোদিই ‘শান্তির দূত’। ফলে ভারসাম্যের খেলা খেলে যদি দিল্লি এই যুদ্ধের বন্ধের পথ খুলে দিতে পারে তাহলে তা বিভিন্ন দেশের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.