Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরও সক্রিয় আগ্নেয়গিরি

তেজ ক্রমশ বাড়ছে হোয়াইট দ্বীপের আগ্নেয়গিরির, এখনও উদ্ধার হল না পর্যটকদের মৃতদেহ

অবিরাম লাভাস্রোতে বিষাক্ত আশেপাশের পরিবেশ।

Volcano in White Island, NZ shows more siesmic activity
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 11, 2019 3:44 pm
  • Updated:December 11, 2019 3:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেজ যেন কিছুতেই কমছে না। জনগণের পদধ্বনিতে দীর্ঘদিন পর সে জেগে উঠে যেন ভিতর জমিয়ে রাখা যাবতীয় সামগ্রী অবিরল উদগীরণে বের করে দিতে চাইছে। সেই তেজে ধারেকাছে ঘেঁষতে পারছে না কেউ। নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট দ্বীপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতে নির্গমনের জেরে ব্যাহত উদ্ধারকাজ। বেড়াতে গিয়ে অগ্ন্যুৎপাতে মৃত পর্যটকদের দেহ ৪৮ ঘণ্টা পরও উদ্ধার হল না।

white-island
হোয়াইট দ্বীপের নৈসর্গিক পরিবেশ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় যত যাচ্ছে, ততই আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে হোয়াইট দ্বীপের আগ্নেয়গিরিটি। যেন ঘুম ভেঙে জেগে হুংকার ছাড়ছে দৈত্য। জ্বলন্ত লাভাস্রোত আর গনগনে ধোঁয়া অনর্গল বেরিয়ে যাচ্ছে তার মুখ থেকে। ফলে এই মুহূর্তে আগ্নেয়গিরির আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে অনেকটা। কাছাকাছি যাওয়াই যাচ্ছে না। ভূতত্ব বিভাগ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৪টে থেকে অগ্ন্যুৎপাতের জেরে এলাকার কম্পন বেড়েছে। আপাতত পরিস্থিতি বেশ প্রতিকূল। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এমনই চেহারা থাকবে আগ্নেয়গিরির। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ”দ্বীপের কম্পন মাত্রা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। আমরা বুঝতে পারছি যে তা প্রবল বেগে লাভা উদগীরণের ফলেই হচ্ছে। মনে করেছিলাম, গতকালকের দিনটি বিপজ্জনক ছিল। আজ দেখছি, এই দিনটা আরও বিপজ্জনক। প্রতিটি বৈশিষ্ট্য আরও বেশি প্রতিকূলতার দিকে ইঙ্গিত করছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিউজিল‌্যান্ডের অগ্ন্যুৎপাতকে ‘চেরনোবিল’-এর সঙ্গে তুলনা চিকিৎসাকর্মীদের]

তাই আশা ক্রমশ নিভছে উদ্ধারকারী দলেরও। অগ্ন্যুৎপাতের ব্যাপক আঁচে জ্বলেপুড়ে প্রায় কালো হয়ে যাওয়া শরীরগুলোকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। স্বজনহারা আত্মীয়রাও হয়ত বুঝতে পারছেন, প্রিয়জনের জ্বলন্ত দেহও আর শেষবারের মতো দেখতে পাবেন না। যদিও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন বলছেন, ”যারা উদ্ধারকাজে গিয়েছে, তাদের অনেকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ওরা নিজেরাও খুব উদ্বেগে আছে। সবার কাছে তাদের প্রিয়জনের দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত গিয়ে থমকে যেতে হচ্ছে। সেখানেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে, কখন আগ্নেয়গিরি ক্লান্ত হয়ে লাভা নির্গমন স্তব্ধ হবে, তারপর সেখানে প্রবেশ করা যাবে। দেশের পুলিশ মন্ত্রী স্টুয়ার্ট ন্যাশ বলছেন, আগ্নেয়গিরি থেকে প্রবল বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়া বেরচ্ছে। তাতেই চারিদিক ঢেকে গিয়েছে। ওখানকার বাতাস এখন প্রবল আম্লিক। ফলে চিন্তা বাড়ছে।

[আরও পড়ুন: আচমকা জেগে উঠল ঘাতক আগ্নেয়গিরি, নিউজিল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে ২৭]

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দিনভর কাজ করতে থাকা চিকিৎসকরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে কাজ করছেন। যেভাবে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কয়েকজন হাসপাতালে ভরতি, তাদের শুধু বহিরঙ্গই নয়, পুড়েছে দেহের ভিতরের কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গও। পোড়া চামড়া তুলে প্লাস্টিক সার্জারি করতে গেলে যে পরিমাণ চামড়ার দরকার, এতজনের চিকিৎসায় নেমে তাও কম পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাসপাতালে গিয়েও অনেকে নিজের প্রিয়জনকে খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ, প্রায় সকলেরই শরীর দগ্ধ। মুখ, হাত, পা আলাদাভাবে বোঝা যাওয়ার উপায় নেই। এভাবে হোয়াইট দ্বীপে আচমকা অগ্ন্যুৎপাতের মতো বিপর্যয়কে বড়সড় প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক ঘটনা বলে এবার ঘোষণা করার কথা ভাবছে নিউজিল্যান্ড প্রশাসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement