সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই অভিবাসন নীতিতে বড়সড় রদবদল এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন মোট সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের শরণার্থীরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু ট্রাম্পের এই ঘোষণা শনিবার হঠাৎই ধাক্কা খায়। সিয়াটলের মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট বিচারক জেমস রবার্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দেন। এরপরেই ফের একবার আমেরিকা যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন ওই সমস্ত দেশগুলির শরণার্থীরা। বিশেষ করে যাঁদের হাতে ইতিমধ্যে আমেরিকার ভিসা বা গ্রিন কার্ড রয়েছে। কারণ প্রত্যেকেই জানেন, খুব অল্প সময় পাওয়া যাবে মা্র্কিন মুলুকে প্রবেশ করার জন্য। এরপর হয়তো ‘এমার্জেন্সি অর্ডার’ এনে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ ফের কার্যকর করা হতে পারে আমেরিকায়।
মিশিগানের আরব-আমেরিকান সিভিল রাইটস লিগের ডিরেক্টর রুলা আউন বলেন, ‘আমরা প্রত্যেককে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমেরিকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলেছি। যাঁদের হাতে ভিসা রয়েছে তাঁদের উচিত যত শিগগিরি পারা যায় আমেরিকার বিমানে উঠে পড়া।’ তবে কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি পরিবারকে যে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সেটাও মেনে নেন তিনি। যেমনটা হয়েছে এক ইয়েমেনি পরিবারের সঙ্গে। চার শিশুর মধ্যে দু’জনকে মিশরে আত্মীয়দের কাছে রেখেই আমেরিকায় চলে আসতে হয়েছে তাঁদের। কারণ বাবা ও দুই সন্তান আমেরিকার বাসিন্দা হলেও মায়ের অভিবাসন ভিসা ছিল। সেক্ষেত্রে পরে তাঁর আটকে পরার সম্ভাবনাও পুরদস্তুর ছিল।
মার্কিন আধিকারিকদের মতে, ট্রাম্পের ঘোষণায় প্রায় ৬০ হাজার বিদেশির ভিসা সাময়িকভাবে রদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গ্রিন কার্ডধারীদেরও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হলেও, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের বিবৃতির পর ছাড় পেয়েছেন তাঁরা। এদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলেও অনেক বিমানসংস্থা রয়েছে, যারা ওই সাত দেশের মানুষদের আমেরিকাগামী বিমানে উঠতে দিচ্ছেন না। শনিবার থেকে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনাও সামনে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.