সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লিকার ব্যারন’ বিজয় মালিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় বছর চারেক আগে। বহু কাঠখড় পুড়িয়েও তাঁকে এখনও দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। বারবার চেষ্টা করেও আশাহত হতে হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। আইনের ফাঁক ফোকর গলে বেশ কায়দা করেই ক্রমাগত নিজেকে বাঁচিয়ে যাচ্ছেন বিজয় মালিয়া। সরকার যেখানে মালিয়াকে বন্দি করায় উদ্যোগী সেখানে সরকারের কাছেই সাহায্যের আবেদন করে বসলেন বিজয় মালিয়া।
সম্প্রতি একটি টুইটে মালিয়া কেন্দ্র সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সরকার গোটা দেশে লকডাউন জারি করেছে। তাঁরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তাঁর সমস্ত কোম্পানির কাজকর্ম স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সব উৎপাদন বন্ধ। অথচ তিনি কর্মীদের টাকা দিয়েই যাচ্ছেন। কর্মীদের বাড়ি ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন মালিয়া। তিনি আরও বলেছেন, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিংফিশার এয়ারলাইন্স যে ঋণ নিয়েছিল, তা তিনি ১০০ শতাংশ শোধ করে দেওয়ার কথা আগে বহুবার বলেছেন। কিন্তু কোনও ব্যাংক বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও তার কথায় আমল দিচ্ছে না। কিন্তু দেশের এই সঙ্গীন পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী তাঁর সেই প্রস্তাব ভেবে দেখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মালিয়া।
Indian Government has done what was unthinkable in locking down the entire Country. We respect that. All my Companies have effectively ceased operations. All manufacturing is closed as well. Yet we are not sending employees home and paying the idle cost. Government has to help.
— Vijay Mallya (@TheVijayMallya) March 31, 2020
I have made repeated offers to pay 100 % of the amount borrowed by KFA to the Banks. Neither are Banks willing to take money and neither is the ED willing to release their attachments which they did at the behest of the Banks. I wish the FM would listen in this time of crisis.
— Vijay Mallya (@TheVijayMallya) March 31, 2020
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে কেন্দ্র সরকারকে আরও চাপে ফেলতে চাইছে বিজয় মালিয়া। একবার যদি ভারত সরকার বা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বর্তমান পরিস্থিতি ও মালিয়ার চাপের মুখে নতি শিকার করে, তবে পাশা পালটে যাবে। আবার বল চলে যাবে মালিয়ার কোর্টে। সেটাই তিনি চাইছেন। যদিও মালিয়ার এই টুইটের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে ৯ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ছিল। ভারতের চোখে তিনি এখন অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। ফেরার ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরানো নিয়ে লন্ডনে ভারতীয় এজেন্সিগুলির আইনি লড়াই চলছে। তাঁকে বন্দি করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটেনের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ২০১৬ সালে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড মালিয়ার বিরুদ্ধে বন্দি প্রত্যর্পণের ওয়ারেন্ট জারি করে। যদিও এখন তিনি জামিনে মুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.