Advertisement
Advertisement

Breaking News

Putin

স্বীকৃতি দেননি পুতিন, দারিদ্রকে সঙ্গী করেই চলে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্টের ‘গোপন মা’

এক বিবাহিত পুরুষের ঔরসেই নাকি তিনি জন্ম দিয়েছিলেন পুতিনের!

Vera Putina who claimed Putin was her son, dies in poverty aged 97। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 2, 2023 7:00 pm
  • Updated:June 2, 2023 7:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলে গেলেন পুতিনের ‘সিক্রেট মাম’। বয়স হয়েছিল ৯৭। দারিদ্রকে সঙ্গী করেই প্রয়াত হলেন নবতিপর বৃদ্ধা। ‘গুপ্ত মা’ এই নামকরণ থেকেই পরিষ্কার, সারা জীবন পুতিন কোনওদিন তাঁকে মায়ের স্বীকৃতি দেননি। যদিও ভেরা পুতিনা নামের ওই মহিলা দাবি করেছেন, এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরই তাঁর ঔরসে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। সেই সন্তানই নাকি পুতিন। কিন্তু সারা জীবন ধরে এমন দাবি করে এলেও পুতিনাকে কোনওদিনই মা বলে মেনে নেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

পুতিনা জানিয়েছিলেন, ছেলেকে তিনি ভোভা বলে ডাকতেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁকে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেন তিনি। আসলে জর্জিয়ায় থাকাকালীন সৎ বাবার নির্যাতনের শিকার হন পুতিন। আর সেই কারণেই তাঁকে রাশিয়ায় (Russia) পাঠান মা। তবে পুতিনার দাবি, বাবা পুতিনকে মারধর করতেন না। কিন্তু কনকনে ঠান্ডাতেও বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়ার মতো শাস্তি দিতেন।

Advertisement

Vera Putina who claimed Putin was her son, dies in poverty aged 97

[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী হলে ৬ মাসে বাংলাকে বদলে দেব’, চাঞ্চল্যকর দাবি মিঠুনের, পালটা দিল তৃণমূল]

কোনওদিনই পুতিনাকে (Vera Putina) নিজের মা বলেননি পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, মারিয়া শেলোমোভা তাঁর মা। যদিও জর্জিয়ার এক শহর থেকে প্রাপ্ত নথির দাবি কিন্তু পুতিনার সঙ্গেই মিলে যায়। দেখা যায়, সেখানকার একটি স্কুলে ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন পুতিন। সেই স্কুলের রেকর্ড বলছে, পুতিন রুশ নন। জর্জিয়াতেই তাঁর জন্ম। বলাই বাহুল্য, এই ধরনের তথ্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন পুতিন। পুতিনা অনেকগুলি পুরনো সাদা-কালো ছবিও প্রকাশ্যে এনেছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকা শিশুকে পুতিন বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। বলাই বাহুল্য, এহেন দাবিও নস্যাৎ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

পুতিনা কিন্তু বারবার তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ”আমার একটাই স্বপ্ন। ভোভাকে না দেখে যেন আমি না মরি। ও যেন একবার আমাকে ওর কাছে ডেকে নেয়। প্রায়ই স্বপ্নে ওকে দেখতে পাই। কিন্তু ও আমার সঙ্গে কথা বলতে চায় না। বাস্তবেও না, স্বপ্নেও না। আসলে আমি যা করেছিলাম, সেজন্য ও আমার প্রতি রুষ্ট ছিব। ও আমাকে ক্ষমা করতে পারেনি।” অবশেষে মৃত্যু হল সেই বৃদ্ধার। আজীবন পুতিন তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্কে সিলমোহর না দিলেও তিনি পরিচিত রয়ে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্টের ‘সিক্রেট মাম’ হিসেবেই।

[আরও পড়ুন: ১০ বছর পর প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement