সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ উজবেকিস্তান। গত কয়েকদিন ধরে চলা সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৮ জনের। আহত অন্তত আড়াইশো। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় পাঁচশো জন বিক্ষোভকারীকে। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে গোলমালের মূল কেন্দ্র কারাকল্পকস্তানে এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শাভকত মিরজিয়োওয়েভ।
সম্প্রতি কারাকল্পকস্তানে স্বশাসন তথা স্বাধীনতা ঘোষণার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) প্রেসিডেন্ট শাভকত মিরজিয়োওয়েভ। সংবিধান সংশোধনের উদ্দেশ্যে খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছিলেন তিনি। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা প্রদেশ। গত শুক্রবার কারাকল্পকস্তানের রাজধানী নুকাসে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। একাধিক সরকারি ভবন দখল করে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তারক্ষাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৮ জনের। আহত অন্তত আড়াইশো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়। শনিবার নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মিরজিয়োওয়েভ।
উল্লেখ্য, উজবেকিস্তানের অংশ হলেও আরল সাগরের তীরবর্তী কারাকল্পকস্তানে মূলত সংখ্যালঘু জনজাতিদের বসবাস। উজবেকদের চেয়ে সংস্কৃতি বা ভাষার নিরিখে তাদের বেশি মিল রয়েছে কাজাখদের সঙ্গে। সেখানকার স্বশাসনের অধিকার খর্ব করতে চেয়েছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট যা ভাল চোখে দেখেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। বলে রাখা ভাল, মধ্য এশিয়ার প্রাক্তন সোভিয়েত দেশটির বিরুদ্ধে নৃশংসভাবে বিক্ষোভ দমনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়।
এদিকে, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকত মিরজিয়োওয়েভ। আলোচনায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে মস্কো। পালটা, তাশখন্দের উপর চাপ বাড়িয়ে বিক্ষোভ দমনের পদ্ধতি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে আমেরিকা ও রাষ্ট্রসংঘ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.