সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানি শাসন কায়েম হয়েছে আফগানিস্তানে (Afghanistan)। আর সেই শাসনকালের শুরু থেকে আতঙ্কে ভুগছেন উইঘুর মুসলিমরা (Uyghurs Muslim)। আফগানিস্তানে থাকা উইঘুরদের চিনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। কিন্তু কেন এমনটা করবে তালিবান?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মানবাধিকার সংগঠন উমর উইঘুর ট্রাস্টের সভাপতি মহম্মদ উইঘুর জানিয়েছেন, “এখন তালিবানের (Taliban Terror) হাতেই সমস্ত ক্ষমতা। ওরাও মুসলিম, আমরাও মুসলিম। কিন্তু এখন তো টাকাই সবকিছু। আর তালিবান তো চিনের কাছে থেকে টাকা পাচ্ছে।” তাঁর কথায়, “এখন বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রই এই কাজ করছে।” এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, আফগানিস্তানে উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রায় হাজার দুয়েক পরিবারের বাস। যাদের চিনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে, এমন জল্পনাও তৈরি হয়েছে।
ওই সংগঠনের আরেক শীর্ষকর্তা আবদুল আজিজ নাসের বলেন, প্রায় ১০০ উইঘুর পরিবার আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগ করেছিলাম। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। দিন কয়েক আগে উইঘুরদের উপর অত্যাচার নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিল উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট এবং অক্সাস সোসাইটি ফর সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স। তাতে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রিপোর্টে লেখা হয়, “চিনের তরফে ইসলামাবাদ এবং কাবুল উইঘুরদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তাদের হেনস্তা এবং ভিটেহারা করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে তারা। চিনে বহু উইঘুরদের হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় তাদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের উপর রাশ টেনেছে চিন। সেখানে উইঘুর (Uighurs) ও অন্য মুসলিম (Muslim) জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগে বিবিসির তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.